হিন্দুধর্মের আলো,এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু (সনাতন) ধর্মের একটি পুর্নাঙ্গ ওয়েব পোর্টাল গড়ার প্রচেষ্টায় কাজ করছে। এই সাইটের মূল উদ্দেশ্য হলো হিন্দুধর্মের প্রচার। এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন মন্ত্র, বিভিন্ন পূজা-অর্চনা, আরতি, ধ্যান,দশবিধ সংস্কার, তিলক,আরাধনা,বিভিন্ন ব্রত পালনসহ বিস্তারিত জানতে পারবেন।এই সাইটি বড় তথ্যের ভান্ডার করতে কিছু পোস্ট ফেসবুক ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়ে। এই ব্লগ পোস্ট সমূহ নিয়মিত শেয়ার করে হিন্দুধর্ম প্রচার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবেন।

গণেশ পূজা (Ganesh Puja)

গণেশ পূজা


শ্রী শ্রী গণেশ  বন্দনা --
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
গজানন, গণপতি অষ্ট বিনায়ক
কামনা পূরণে তুমি বিঘ্ননাশক
তোমার স্মরণে যে জন আসে,
রিদ্ধি, সিদ্ধি ছাড়েনা তাকে
বেদের ভাষ্য তুমি লিখেছ একম
তোমা বিনা বিদ্যা, বুদ্ধি হয়না সফল
পার্বতী তনয় তুমি, পিতা মহেশ্বর
সার্থক জনম তোমার হে জ্ঞানেশ্স্বর।
দেব, দ্বিজ, ঋষি, মুনি - সাধক যোগী যত
সকলে তোমায় পুঁজে আপনার মতো
সিদ্ধি তুমি, সিদ্ধাই তুমি, তুমি ভক্তের ইশ্বর,
তোমার করুনা ছাড়া জগত নিথর।
ভক্তের ভক্তি তুমি, বিশ্বাসের বিজ্ঞান,
অজ্ঞানের জ্ঞান তুমি, হে ভগবান,
বেদের বেদান্ত তুমি, ত্রি-লোকের ধ্যান -
হে গজানন লহ প্রনাম।
ॐ নমঃ, নমঃ নমঃ গজানন নমঃ,
ॐ নমঃ গণেশায় নমঃ নমঃ,
সিদ্ধি বিনায়ক নমঃ নমঃ,
ॐ গং গনপতায়ে নমঃ নমঃ।

গণেশের ধ্যান —
“খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরং
বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।”
অর্থাৎ — যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন 

অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা 
যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া 
তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; 
সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা ও কামদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।
গণেশের প্রণামমন্ত্র –
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।
অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, 

গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী 
সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।
গণেশের প্রার্থনা মন্ত্র –
দেবেন্দ্রমৌলিমন্দারমকরন্দকণারুণাঃ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।


অর্থাৎ, দেবরাজ ইন্দ্রের মস্তকে বিরাজিত 

মন্দারপুষ্পের পরাগসমূহের দ্বারা রক্তিম 
হেরম্বের পাদপদ্মের রেণুসমূহ 
আমার বিঘ্নহরণ করুক।
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ মতে, তাঁর উদরে সমগ্র জগৎসংসারের

 অবস্থান বলেই তিনি লম্বোদর। গণেশের বাহন মুষিক বা ইঁদুর।
 ইঁদুর ধর্মের অবতার; মহাবল ও পূজাসিদ্ধির অনুকূল।
মনে করা হয়, গণেশের পদতলে ইঁদুর, গণেশ কর্তৃক বিঘ্নবিজয়ের প্রতীক।
 বৃহদ্ধর্ম পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে পৃথিবী গণেশকে মুষিক বাহন দিয়েছিলেন।

গনেশ মন্ত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ...
* ধ্যান মন্ত্র -
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং গনপতিং বিদ্যুদ্বর্ণং গজাননং ।
শ্বেতাম্বরং সিতাব্জস্থং স্বর্ণমুকুট শোভিতম্ ।।
শ্বেতমূষিক পৃষ্ঠন্যস্তবামচরনং সিদ্ধিদং ।
বামজান্বারোপিতদক্ষিনপদং চতুর্ভুজম্ ।।
অর্থাৎ যিনি বিদ্যুবর্ণ, গজানন, শ্বেতবস্ত্র পরিহিত, শ্বেতপদ্মে অবস্থিত, মাথায় স্বর্ণমুকুট শোভাস্থিত, যাহার বামচরন শ্বেতমূষিকের পৃষ্ঠে রাখা এবং বাম পা হাটুর ওপর অবস্থিত । যিনি সিদ্ধিদাতা ও চতুর্ভুজ , বাম দিকের দুই হাতে শঙ্খ ও চক্র, ডান দুই হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারনকারী সেই সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশকে আরাধনা করি ।

** ভগবান শ্রীগনেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শুভ ও দ্রুত ফল প্রদানকারী মন্ত্র নিচে দেওয়া হল, সাধ্যমতে শুদ্ধচারে জপ করলে অবশ্যই মনমতো ফল পাওয়া যায় ।
১. বিদ্যায় সফলতার জন্য - ওঁ গং গনপতেয় নমঃ
প্রতিদিন ২৮ বার করে জপ করতে হবে।
২. তন্ত্র- মন্ত্রের বিপরীত ক্রিয়া থেকে মুক্তি লাভের জন্য- ওঁ হস্থিপিশাচিনিখে স্বাহাঃ ।
(এই মন্ত্র চলাফেরার সময় বা বসে জপ করা যেতে পারে। এঁটো মুখে জপ করলে বেশি তাড়াতাড়ি কাজ দেয় ।
৩. আর্থিক উন্নতির জন্য - ওঁ বক্রতুন্ডায় হুং ।
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )
৪. ঋনমুক্তির জন্য - ওঁ গনেশ ঋনং ছিন্দিং 
বরেন্যং হুং ফট্ নমঃ ।
( প্রতিদিন ধুপ জ্বেলে ১০৮ বার করে জপ )
৫. সর্ব্ব বশীকরনের জন্য- " ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গং গনপতয়ে 
বর বরদ সর্ব্বজনং মে বশ মানায় স্বাহা " ।
(প্রতিদিন ১০৮ বার করে জপ )
Share:

No comments:

Post a Comment

Powered By Blogger

Categories

লেখক

সুমন চন্দ্র বর্মন (সাগর)
অনার্স, এম এ (ইতিহাস)
টাংগাইল, ঢাকা, বাংলাদেশ।