হিন্দুধর্মের আলো,এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু (সনাতন) ধর্মের একটি পুর্নাঙ্গ ওয়েব পোর্টাল গড়ার প্রচেষ্টায় কাজ করছে। এই সাইটের মূল উদ্দেশ্য হলো হিন্দুধর্মের প্রচার। এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন মন্ত্র, বিভিন্ন পূজা-অর্চনা, আরতি, ধ্যান,দশবিধ সংস্কার, তিলক,আরাধনা,বিভিন্ন ব্রত পালনসহ বিস্তারিত জানতে পারবেন।এই সাইটি বড় তথ্যের ভান্ডার করতে কিছু পোস্ট ফেসবুক ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়ে। এই ব্লগ পোস্ট সমূহ নিয়মিত শেয়ার করে হিন্দুধর্ম প্রচার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবেন।

দুঃখ-কষ্ট অভাব ও অশান্তি থেকে মুক্তি পাবার মন্ত্র

দুঃখ-কষ্ট অভাব ও অশান্তি থেকে  মুক্তি পাবার মন্ত্র :


ভাল-খারাপ নিয়েই আমাদের জীবন। সবসময় যে চলার পথ মসৃণ হবে তা নয়৷ কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির নাগপাশে জড়িয়ে মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন উঁকি দেয়, “আমার ভাগ্য কবে ফিরবে?” জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, এই চারটি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে আপনার জীবনে খুশির সূর্যোদয় হবেই হবে!


গণেশের মন্ত্র: ধর্মীয় গুরুদের মতে এই মন্ত্রটি দিনে অন্তত ১০৮ বার পাঠ করলে ফল মিলতে বাধ্য।বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। মন্ত্রটি হল- “ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।” প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনবেন না। তাহলেই সুফল মিলতে শুরু করবে।

লক্ষ্মী মন্ত্র:  অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি আসে, স্থিরতা আসে সে দিকেও খেয়াল রাখে। একথায় বলা যাতে পারে সার্বিক খুশির চাবিকাঠি হল এই মন্ত্রটি।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। তবে তার আগে মা লক্ষ্মীর ছবিতে ফুল দিন। ধুপ -ধূনো জ্বালান। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দিনে পাঁচ বার, টানা ১১ দিন এই লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করলেই ফল মিলবে। মন্ত্রটি হল- “ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।”

দূর্গা মন্ত্র: এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে জীবন খুশিতে ভরে উঠবে৷ অশুভ ছায়া সঙ্গ ছাড়বে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি প্রতি দিন কম করে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তবেই মিলবে সুফল। মন্ত্রটি হল- “দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।”


ধন্যবাদ
Share:

No comments:

Post a Comment

Powered By Blogger

Categories

লেখক

সুমন চন্দ্র বর্মন (সাগর)
অনার্স, এম এ (ইতিহাস)
টাংগাইল, ঢাকা, বাংলাদেশ।