তিলক দেওয়ার মন্ত্রসহ নিয়মাবলি
২ .উপর থেকে নাসিকার তিন ভাগ পর্যন্ত তিলক বিস্তৃত হওয়া উচিত।তিলকের মধ্যবর্তী স্থান ভ্রমধ্যে থেকে কপালের যুগল রেখা মস্তকের চুল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।নাসিকা ও কপালের তিলক চিহ্ন সংযুক্ত করে দিতে হয়।
তিলক গুলিবার মন্ত্রঃ
নমো কেশবান্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পুর্ন্যযাস্যমায়ুরস্য তিলকং মে প্রসাদতু।।
তিলক কোন আঙ্গুল দিয়ে কাটতে হয়?
উত্তরঃ
ভক্তি তিলক - অনামিকা
যুদ্ধ তিলক- বৃদ্ধাঙ্গুলি
শান্তি তিলক- মধ্যমা
বৈভব তিলক- অনামিকা এবং মধ্যমা ।
বন্ধন তিলক- কনিষ্ঠ অঙ্গুলির দ্বারা ( ভাই ফোঁটা)
♥ দেহের যে সব স্থানে তিলক করতে হবেঃ-
► ললাটেঃ ওঁ কেশবায় নমঃ।
► উদরেঃ ওঁ নারায়ণায় নমঃ।
► বক্ষস্থলেঃ ওঁ মাধবায় নমঃ।
► কণ্ঠেঃ ওঁ গোবিন্দায় নমঃ।
► দক্ষিণ পার্শেঃ ওঁ বিষ্ণুবে নমঃ।
► দক্ষিণ বাহুতেঃ ওঁ মধুসূধনায় নমঃ।
► দক্ষিণ স্কন্ধেঃ ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ।
► বাম পার্শেঃ ওঁ বামনায় নমঃ।
► বাম বাহুতেঃ ওঁ শ্রীধরায় নমঃ।
► বাম স্কন্ধেঃ ওঁ হৃষীকেশায় নমঃ।
► পৃষ্ঠেঃ ওঁ পদ্মনাভায় নমঃ।
► কটিতেঃ ওঁ দামোদরায় নমঃ।
►► বাম হাতের অবশিষ্ট তিলক ধুয়ে ঐ জল ‘ ওঁ
বাসুদেবায় নমঃ ‘ বলে মাথায় দেবেন।
তিলক ধারনের প্রয়োজনীয়তা: -
বৈষ্ণবের তিলকে অঙ্গ ভূষিত করা প্রয়োজন মন্ত্র উচচারণের মধ্য দিয়ে. যারা তিলক ধারন করেন শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করেন.
শ্রী চৈতন্য মহা প্রভু বলে গেছেন - বৈষ্ণব হচ্ছেন তিনি, যাকে দেখা মাত্রই শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে পরে. তাই মানুষকে শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে করিয়ে দিতে বৈষ্ণবের তিলক ধারন করা আবশ্যক.
#স্কন্ধ_পুরানে বলা হয়েছে 'যিনি তিলক অথবা গোপীচন্দন দারা বিভুষিত হয়ে সমস্ত শরীর ধারন করেন, যমদূত সেই বৈষ্ণব দের কাছে ও আসতে পারেনা.
#পদ্ম_পুরানে বর্নিত.
* তিলক ধারন না করে যজ্ঞ ,দান,তপ,হোম, বেদপাঠ,পিতৃ তর্পনাদি যা কিছু ধর্ম কার্য করা হয় সে সমস্ত বিফল হয়.
* তিলক ধারন না করে সন্ধ্যা বন্দনা সর্বকর্মাচরন নিত্য রাক্ষসের নিমিত্ত হয়.পরিনামে নরক গমন হয়।
তিলকের মহিমা:
কপালে তিলক দেখে মনে হয় দেবী ,
তা নাহলে শুধু মনে হয় জল-ছবি।
তিলক আর ত্রি-লোকে গোবিন্দের বাস,
ভক্তের মাধ্যমে তাঁর মহিমা প্রকাশ।
তিলক দেখে মুখে আসে কৃষ্ণ নাম ,
মৃত্যুকালে নরকে নিতে পারেনা যম রাজ।
শাস্ত্রে আছে তিলকের কত যে মহিমা ,
তিলকের মধ্যে বিষ্ণু, ডানে শিব বামে ব্রহ্মা।
তিলক না থাকে তবে কপাল শ্মশাণ ,
সর্ব কার্যে তিলক করে শুভ শক্তিদান।
শুভ কার্যে কপালে যদি থাকে তিলক ,
সর্বলোকে গুন গায় গতি উর্ধ্ব-লোক।
তিলকের উৎপত্তি হয় গোপী পদরেনু ,
গোবিন্দের কপালে তিলক বাজায় বেনু।
তিলক থাকে গোপীদের চরণ কমলে ,
ভক্তের মহিমা বাড়াতে কৃষ্ণের কপালে।
গোপী পদরেনু তাই রাধার কপালে তিলক নাই ,
তিলক বিনে গুরু-কৃষ্ণ সেবা বিফলে গেল ভাই।
বিঃ দ্রঃ ঃএকবার কিছু ভক্ত সন্ধ্যা আরতি করে মহাপ্রভুকে প্রণাম নিবেদন করলেন। তখন মহাপ্রভু জানতে চাইলেন সন্ধ্যা আরতি করেছ। ভক্তেরা হাঁ বলেন। প্রভূ তখন বললেন তিলক ব্যাতিত সন্ধ্যা আরতি হবে না। তোমরা সবাই তিলক পড়ে আস। হয়নি যাও তিলক করে পূনরায় সন্ধ্যা আরতি করে আস।
জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম। রাম হরে হরে।
সংগ্রহীত
No comments:
Post a Comment