কিভাবে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়?
হিন্দুধর্ম কি গ্রহণ করা যায়?
আজ কাল অনেক লোকই রয়েছে যারা তাদের পূর্ব পুরুষের
সনাতন ধর্মে ফিরে আসতেঅগ্রহ প্রকাশ করে।
অন্যদিকে শুধুমাত্র আগ্রহ প্রকাশেই তো আর সনাতন ধর্মে
ধর্মান্তরিত হওয়া যায় না, এ বিষয়েও তারা অবগত।
সনাতন ধর্মে ফিরে আসতেঅগ্রহ প্রকাশ করে।
অন্যদিকে শুধুমাত্র আগ্রহ প্রকাশেই তো আর সনাতন ধর্মে
ধর্মান্তরিত হওয়া যায় না, এ বিষয়েও তারা অবগত।
সনাতন ধর্ম গ্রহনে বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে যা সকলেরই
জানা আবশ্যক।তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে হিন্দু/সনাতন
ধর্ম গ্রহন করা যায় বা কিভাবে ফিরে আসতেপারেন হিন্দু ধর্মে?
সনাতন ধর্ম শাস্ত্র মতে, পৃথিবীতে জন্মগ্রহনকারী প্রতিটি মানবই
জন্মগতভাবেহিন্দু এবং বেদ মতে,
পৃথিবীতে ধর্ম একটাই যা সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম।
জানা আবশ্যক।তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে হিন্দু/সনাতন
ধর্ম গ্রহন করা যায় বা কিভাবে ফিরে আসতেপারেন হিন্দু ধর্মে?
সনাতন ধর্ম শাস্ত্র মতে, পৃথিবীতে জন্মগ্রহনকারী প্রতিটি মানবই
জন্মগতভাবেহিন্দু এবং বেদ মতে,
পৃথিবীতে ধর্ম একটাই যা সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম।
অতিতের ইতিহাস থেকে যানা যায় যে, সেসময় বিভিন্ন
ধর্মের লোকেরা ব্রেইন ওয়াস করে ধর্মান্তরিত করেছে
অসংখ্য মানুষকে। যার কারনে অন্য ধর্মে স্থানান্তরিত হওয়ায়
হিন্দু সম্প্রদায় অনেক পিছিয়ে। তবুও বর্তমান বিশ্বে
লোকসংখ্যার দিক থেকেহিন্দু/সনাতন ধর্মানুসারিদের
অবস্থান তৃতীয়তম। তাছাড়া এমন কিছু লোক এখনও
আছে যারা ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন করে ফিরে আসতে চায় তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মে।তবে বেশিরভাগ লোকই অবগত নন
কিভাবে অনুসারী হওয়া যায় এই ধর্মের।
যে ব্যক্তি এতো দিন সে তার জীবনে চলার পথে সঠিক
নিয়ম অনুসরন করেনি,
সে অগ্নির সামনে বসে পবিত্র মন্ত্রের উচ্চারনের মাধ্যমে সেই শপথ গুলো
নেয়াকেই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করা বলা হয়।
ধর্মের লোকেরা ব্রেইন ওয়াস করে ধর্মান্তরিত করেছে
অসংখ্য মানুষকে। যার কারনে অন্য ধর্মে স্থানান্তরিত হওয়ায়
হিন্দু সম্প্রদায় অনেক পিছিয়ে। তবুও বর্তমান বিশ্বে
লোকসংখ্যার দিক থেকেহিন্দু/সনাতন ধর্মানুসারিদের
অবস্থান তৃতীয়তম। তাছাড়া এমন কিছু লোক এখনও
আছে যারা ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন করে ফিরে আসতে চায় তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মে।তবে বেশিরভাগ লোকই অবগত নন
কিভাবে অনুসারী হওয়া যায় এই ধর্মের।
যে ব্যক্তি এতো দিন সে তার জীবনে চলার পথে সঠিক
নিয়ম অনুসরন করেনি,
সে অগ্নির সামনে বসে পবিত্র মন্ত্রের উচ্চারনের মাধ্যমে সেই শপথ গুলো
নেয়াকেই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করা বলা হয়।
যে কোনো ধর্মের, কেউ চাইলেই হিন্দুধর্ম গ্রহন করতে পারে।
শুধু যে জন্ম সুত্রেই সনাতন ধর্মালম্বি হয়া যায় তা নয়।
যে কেউই ইচ্ছে করলে সনাতন ধর্ম গ্রহন করতে পারে।
ধরুন আপনি ভালো কাজ করতেন। হঠাৎ কারো প্ররোচনায়
পরে চোর বা ডাকাত হয়ে গেলেন। এক সময় বুঝতে
পারলে আপনি খারাপ পথে আছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন
আবার ভালো পথে ফিরে আসবেন।ঠিক তেমনি কেউ সনাতন
ধর্ম থেকে গেলে বা অন্য ধর্মে জন্মালে সনাতন ধর্মে
ফিরে আসতে পারবে।
হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা গেলে গ্রহণের পদ্ধতি কি ? বিস্তারিত জানুনঃ
পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ধর্ম সনাতন ধর্ম। সকল ধর্ম, মত, পথ ও উপাসনা পদ্ধতি এসব কিছুরই উৎসমুখ হচ্ছে এই হিন্দুধর্ম।
যেহেতু একসময় পুরো পৃথিবীতে হিন্দুধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মই
ছিল না তাই সেসময়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে হিন্দুধর্মে
দীক্ষিত করার প্রথাও ছিল না, কেননা সেসময় ভিন্ন ধর্ম
বলতে কিছু ছিল না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে শুধু ভিন্ন
ধর্মের উদ্ভবই ঘটেনি এমনকি হিন্দুধর্মকে সংহার করতে
বহু ধর্মেরই উদ্ভব ঘটেছে আর এদের দ্বারা হিন্দুরা বিপথে
চালিতও কম হয়নি।মহামানবরা যেমন সমাজ সংস্কারের
জন্য কাজ করেন তেমনি সময়ের প্রয়োজনে কিছু
পদ্ধতিও সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য নির্দেশ করেন।
খ্রিষ্টীয় চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীর দিকে তেমনি একজন
ঋষির আবির্ভাব ঘটে। যদিও ১২০০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে
আনুষ্ঠানিক ইসলাম ধর্মের রাজনৈতিক বিস্তার
শুরু হয় কিন্তু মূল কাজটি শুরু হয়েছিল বেশ পূর্বে।
আর ভিন্ন ধর্মে চলে যাওয়াহিন্দুদের নিজ ধর্মে ফিরিয়ে
আনতে এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষকে হিন্দুধর্ম গ্রহণের
পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেন এই মহান ঋষি দেবল।
তাঁর রচিত 'দেবল স্মৃতি' হিন্দুধর্ম গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ বিধান
দেয়া আছে। ভারতীয় আর্য সমাজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ
কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে কনভার্ট হওয়া হিন্দুদের নিজ
ধর্মে ফিরিয়ে আনা ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা হিন্দুধর্ম
গ্রহণের 'শুদ্ধি যজ্ঞ' নামক আনুষ্ঠানিকতাটিমূলত
এই দেবল স্মৃতির অনুসরণ।
চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীর দিকে ঋষি দেবলের ডাকে সমসাময়িক
ভারতে ঋষিদের নিয়ে সিন্ধু তীরবর্তী (বর্তমান পাকিস্তান অংশে)
এক সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে ঋষি দেবল ও অন্যান্য
ঋষিগণ হিন্দুদের রক্ষা ও হিন্দুধর্ম প্রসারের লক্ষ্যে কিছু
সিদ্ধন্তে উপনীত হন। এই সিদ্ধন্তের ফলাফল হচ্ছে
'দেবল স্মৃতি' নামক গ্রন্থ।ভারতের দেরাদুন আর্য সমাজের
গ্রন্থাগারে আজও 'দেবল স্মৃতি' সংরক্ষিত আছে।
এই গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ যত শীঘ্র হবে ততই আমাদের
জন্য মঙ্গল।এছাড়াও বেদের সেই বিখ্যাত মন্ত্রও আমাদের
নির্দেশ করে যে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়-
'হে মনুষ্যগণ তোমরা ঈশ্বরের মহিমাকে বৃদ্ধি কর,
সমগ্র বিশ্বকে আর্যধর্মে দীক্ষিত কর' ।
ঋগ্বেদ,
মোক্ষযোগ শ্লোক -২৬
সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ।
অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ ॥ ৬৬॥
গীতার গানঃ
সর্ব ধর্ম লাগি হও আমার শরণ।
রক্ষিব তোমাকে আমি সদা সর্বক্ষণ ॥
কোন চিন্তা না করিবে পাপ নাহি হবে ।
আমার শরণে তুমি পরা শান্তি পাবে॥
অনুবাদঃ সর্বপ্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও ।
আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব ।তুমি শোক করো না ॥
তাৎপর্যঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে বলেছেন , কেউ যদি সমস্ত পাপ
থেকে মুক্ত না হয়েও থাকে, কেবল আমার শরণাগত হওয়ার ফলে
তিনি আপনা থেকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন । পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য অন্যকোন কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই।
আমাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণকে সমস্ত জীবের পরম পরিত্রাতা বলে দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করা। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে আমাদের
উচিত তার প্রতি শরণাগত হওয়া।
১। ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকতে হবে এবং সেই পরমাত্মা ঈশ্বরকে স্মরণ
করতে হবে।
প্রতিদিন হরি নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করবেন।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে"
করতে হবে।
প্রতিদিন হরি নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করবেন।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে"
২। হিন্দুধর্মীয় শাস্ত্র অনুসরণ করে চলতে হবে।
৩/মন্দিরে যেতে পারেন মনের শান্তির জন্য এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনার জন্য ।
৪/ বেদ, গীতা, পুরান পাঠ করবেন প্রতিদিন। কারন যত আপনি বেদ, গীতা এবং পুরান পাঠ করবেন,
তত-ই আপনার জ্ঞান বাড়বে।
তত-ই আপনার জ্ঞান বাড়বে।
৫/ মন্দিরে গিয়ে পুরুহিতের মাধ্যমে যজ্ঞ করে সঠিক পথে চলার
শপথ নিবেন।
শপথ নিবেন।
৬/ বেদ গীতা অনুযায়ী জীবন গড়ার চেষ্টা করবেন।
৭/ সব সময় ঈশ্বরকে স্মরণ রাখবেন। তার কাছে মন থেকে
প্রার্থনা করবেন সে যেন আপনাকেসঠিক পথে চলার
অনুপ্রেরনা করে। আর হ্যা আপনি যদি সত্যি তার পথে
চলেন।তাহলে আপনার মনে কখনো দুঃখ থাকবে না।
প্রার্থনা করবেন সে যেন আপনাকেসঠিক পথে চলার
অনুপ্রেরনা করে। আর হ্যা আপনি যদি সত্যি তার পথে
চলেন।তাহলে আপনার মনে কখনো দুঃখ থাকবে না।
৮/ পৃথিবীর সকল জীবকে আপনার ভালবাসতে হবে।
যখন কোনো হিন্দু মেয়ে অন্য ধর্মের ছেলের সাথে পালিয়ে যায়
তখন আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছি।কিন্তু যখন কোন
হিন্দু ছেলে অন্য ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করে সনাতন ধর্মে
আনতে চায় তখন আমরা ছি ছি করছি কেন?
একদিকে জাতপাতের ঘৃনা ছড়ায়ে মেয়েদের লাভ জিহাদের
শিকার করিয়ে দিচ্ছি।আরেক দিকে কোনো হিন্দু ছেলে
অন্য ধর্মের মেয়ে বিয়ে করে সনাতনধর্মে অানতে চাইলে,
তাকে তাড়িয়ে দিয়ে অন্য ধর্ম গ্রহনে বাধ্য করাচ্ছি।
জাতপাত দূর করো, হিন্দু হলেই বিয়ে করো।
অহিন্দুকে বিয়ে করে, আর্য ধর্মে দিক্ষীত করো।
সকলেরই আড়ষ্টতা থেকে বের হয়ে মুক্তমন ও স্বাধীন ভাবে
বাঁচার অধিকার আছে।
সনাতনী চিন্তা-চেতনায় আলোকিত হউক সমগ্র সৃষ্টিকুল।
ছিল সে একজন অহিন্দু, তাতে কিবা আসে যায়।
আজ সে তার আসল সত্ত্বায় ফিরে আসতে চায়,
তাতে ক্ষতি কি! প্রকৃত সত্য সনাতন, এর বাইরে কিছু নয়।
(সংগ্রহকৃত)
No comments:
Post a Comment