যাত্রা প্রকরণ:
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবি ও শুক্র বার পশ্চিমে, মঙ্গল ও বুধ বার উত্তরে, শনি ও সোম বার পূর্বে এবং বৃহস্পতি বার দক্ষিণে দিকশূল হয়। তাই উক্ত বারে উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ। শুক্লা-প্রতিপদ, চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে যাত্রা করলে অশুভ হয়। অশ্বিনী, হস্তা, পুষ্যা, অনুরাধা, পুনর্বসু, রেবতী, জ্যেষ্ঠা ও মৃগশিরা নক্ষত্রে যাত্রা উত্তম। রোহিণী, পূর্ব-ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া, পূর্ব-ভাদ্রপদ, চিত্রা, স্বাতী, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, ও শতভিষা নক্ষত্রে যাত্রা মধ্যম। উত্তর-ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তর-ভাদ্রপদ, বিশখা, মঘা, আর্দ্রা, ভরণী, অশেস্নষা ও কৃত্তিকা নক্ষত্রে যাত্রা শুভ। শ্রবণা ও জ্যেষ্ঠাতে পূর্বদিকে, পুষ্যা ও রোহিণীতে পশ্চিম দিকে, হস্তা ও উত্তর-ফাল্গুনীতে উত্তর দিকে এবং পূর্ব-ভাদ্রপদ ও অশ্বিনীতে দক্ষিণ দিকে নক্ষত্রশূল হয়। উক্ত নক্ষত্র যে দিন থাকে সে দিন উক্ত দিকে যাত্রা অশুভ। রবি পূর্বদিকের, চন্দ্র বায়ুকোণের, মঙ্গল দক্ষিণদিকের, বুধ উত্তরদিকের, বৃহস্পতি ঈশানকোণের, শুক্র অগ্নিকোণের, শনি পশ্চিমদিকের, রাহু নৈর্ঋতকোণের অধিপতি। বুধ ভিন্ন দিকপতির দিনে যাত্রা শুভ। প্রতিপদ ও নবমীতে পূর্বদিকে, তৃতীয়া ও একাদশীতে অগ্নিকোণে, পঞ্চমী ও ত্রয়োদশীতে দক্ষিণদিকে, চতুর্থী ও দ্বাদশীতে নৈর্ঋতকোণে, ষষ্ঠী ও চতুর্দশীতে পশ্চিমদিকে, সপ্তমী ও পূর্ণীমাতে বায়ুকোণে, দ্বিতীয়া ও দশমীতে উত্তরদিকে এবং অষ্টমী ও অমাবশ্যাতে ঈশানকোণে যোগিনী বাস করেন। যাত্রায় যোগিনীর শেষ নয় দণ্ড পরিত্যাজ্য। দক্ষিণ ও সম্মুখস্থ যোগিনীতে যাত্রা অশুভ এবং বাম ও পৃষ্ঠে অবস্থিত যোগিনীতে যাত্রা শুভ।
প্রাতঃকালে শয্যা হতে উঠিবার নিয়ম:
প্রতহ্য প্রাতঃকালে নিদ্রাভংগ হলে শয্যা হতে উঠার সময় যে নাসিকায় শ্বাস বহে সেই দিকের হস্ত দ্বারা সেই দিকের মুখ স্পর্শ করে উঠলে বাঞ্ছিত ফল লাভ হয়। সেইদিন কোন হানি কিংবা বিপদ হবে না, এমনকি কন্টক পর্যন্ত বিদ্ধ হবার আশংকা নেই। প্রতহ্য প্রাতঃকালে নিদ্রাভংগ হলে শয্যা হতে নামবার সময় হাত দুখানি চিৎ করে সম্মুখে রেখে, হস্তস্থিত মোটামুটি রেখাগুলির প্রতি দৃষ্টি করবেন। পরে যে নাকে শ্বাস হচ্ছে সেই দিকের হাত দ্বারা মুখের সেই পার্শ্ব স্পর্শ করবেন, অতঃপর শয্যা হতে মৃত্তিকায় পা দিবার সময় যে নাকে শ্বাস বহে সেই দিকের পা অগ্রে বাড়ায়ে শ্বাস ভিতরে প্রবেশকালে শয্যা হতে নামবেন। প্রত্যহ এ নিয়ম পালন করতে ভুলবেন না। অতি আশ্চর্য্য ফল পাবেন। পরীক্ষা করলে বুঝতে পারবেন।
যাত্রা করার নিয়ম :
১। পূর্ব ও উত্তরের দিকে দক্ষিন নাকে এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বাম নাকে শ্বাস প্রবাহিত সময় পাবে। এর অন্যথা হলে কার্য্যসিদ্ধি হবে না এবং শত্রুভয় থাকবে ও নানারূপ বিঘ্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। এই নিয়মে ও নিয়মের বিপরীতে কারো সাথে দেখা করতে কিংবা যে কোন কার্য্যে গেলেই এর আশ্চর্য্যফলে দেখতে পাওয়া যায়।
২। যাত্রাকালে দক্ষিণ নাসিকায় বায়ু বহন হলে দক্ষিণ চরণ ও বাম নাসিকায় শ্বাস বহন হলে বাম পদ অগ্রে বাড়ায়ে নিশ্বাস গ্রহনের সময় স্বগৃহ হতে বহির্গত হবে।
৩। শনি ও শুক্রবারে ৭ বার, রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবারে ১১ বার এবং বৃহস্পতিতে অর্দ্ধবার মাটিতে পদক্ষেপ করে বহির্গত হলে কার্য্যসিদ্ধি হবে।
শনিবার বাম নাসায় শ্বাস বহনকালে বামপদ অগ্রে বাড়ায়ে যেতে হবে। অগ্রে বাম হাত দ্বারা পার্শ্ব স্পর্শ করে প্রথমে বাম পদ বাড়ায়ে ৭ পদ চলে দাঁড়াবে এবং কিছুক্ষণ দাড়ায়ে পরে আবার ঐ বামপদ অগ্রে বাড়ায়ে চলে যাবে এরূপে যে বারে যে কয়বার ক্ষেপনের বিধি আছে সেই বারে সেই কয়পদ গমন করে কিছুক্ষণ দাড়াবে। পরে প্রথমে বাম কি দক্ষিণ যে পদ বাড়ায়েছিলে আবার সেইপদ অগ্রে বাড়ায়ে যথেচ্ছা চলে যাবে। শীঘ্র যাত্রা করার সময় ঐ নিয়মে অর্থাৎ বাম নাসায় শ্বাস বহনকালে ৪ পদ এবং দক্ষিণ নাসায় শ্বাস বহনকালে পঞ্চপদ গমন করে দাড়াবে। কিছুক্ষণ দাড়ায়ে পরে প্রথমে যে পদ অগ্রে যাত্রা করেছ আবার সেই পদ অগ্রে বাড়ায়ে যথেচ্ছা চলে যাবে। বার বিশেষে যে পদক্ষেপনের যে নিয়ম বলা হয়েছে অর্থাৎ যেবার যতবার পদক্ষেপন করতে হবে তা বাম ও দক্ষিণ নাসায় বায়ূ বহনকালে একই নিয়ম হবে।
প্রাতঃকালে শয্যা হতে উঠিবার নিয়ম:
প্রতহ্য প্রাতঃকালে নিদ্রাভংগ হলে শয্যা হতে উঠার সময় যে নাসিকায় শ্বাস বহে সেই দিকের হস্ত দ্বারা সেই দিকের মুখ স্পর্শ করে উঠলে বাঞ্ছিত ফল লাভ হয়। সেইদিন কোন হানি কিংবা বিপদ হবে না, এমনকি কন্টক পর্যন্ত বিদ্ধ হবার আশংকা নেই। প্রতহ্য প্রাতঃকালে নিদ্রাভংগ হলে শয্যা হতে নামবার সময় হাত দুখানি চিৎ করে সম্মুখে রেখে, হস্তস্থিত মোটামুটি রেখাগুলির প্রতি দৃষ্টি করবেন। পরে যে নাকে শ্বাস হচ্ছে সেই দিকের হাত দ্বারা মুখের সেই পার্শ্ব স্পর্শ করবেন, অতঃপর শয্যা হতে মৃত্তিকায় পা দিবার সময় যে নাকে শ্বাস বহে সেই দিকের পা অগ্রে বাড়ায়ে শ্বাস ভিতরে প্রবেশকালে শয্যা হতে নামবেন। প্রত্যহ এ নিয়ম পালন করতে ভুলবেন না। অতি আশ্চর্য্য ফল পাবেন। পরীক্ষা করলে বুঝতে পারবেন।
যাত্রা করার নিয়ম :
১। পূর্ব ও উত্তরের দিকে দক্ষিন নাকে এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বাম নাকে শ্বাস প্রবাহিত সময় পাবে। এর অন্যথা হলে কার্য্যসিদ্ধি হবে না এবং শত্রুভয় থাকবে ও নানারূপ বিঘ্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। এই নিয়মে ও নিয়মের বিপরীতে কারো সাথে দেখা করতে কিংবা যে কোন কার্য্যে গেলেই এর আশ্চর্য্যফলে দেখতে পাওয়া যায়।
২। যাত্রাকালে দক্ষিণ নাসিকায় বায়ু বহন হলে দক্ষিণ চরণ ও বাম নাসিকায় শ্বাস বহন হলে বাম পদ অগ্রে বাড়ায়ে নিশ্বাস গ্রহনের সময় স্বগৃহ হতে বহির্গত হবে।
৩। শনি ও শুক্রবারে ৭ বার, রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবারে ১১ বার এবং বৃহস্পতিতে অর্দ্ধবার মাটিতে পদক্ষেপ করে বহির্গত হলে কার্য্যসিদ্ধি হবে।
শনিবার বাম নাসায় শ্বাস বহনকালে বামপদ অগ্রে বাড়ায়ে যেতে হবে। অগ্রে বাম হাত দ্বারা পার্শ্ব স্পর্শ করে প্রথমে বাম পদ বাড়ায়ে ৭ পদ চলে দাঁড়াবে এবং কিছুক্ষণ দাড়ায়ে পরে আবার ঐ বামপদ অগ্রে বাড়ায়ে চলে যাবে এরূপে যে বারে যে কয়বার ক্ষেপনের বিধি আছে সেই বারে সেই কয়পদ গমন করে কিছুক্ষণ দাড়াবে। পরে প্রথমে বাম কি দক্ষিণ যে পদ বাড়ায়েছিলে আবার সেইপদ অগ্রে বাড়ায়ে যথেচ্ছা চলে যাবে। শীঘ্র যাত্রা করার সময় ঐ নিয়মে অর্থাৎ বাম নাসায় শ্বাস বহনকালে ৪ পদ এবং দক্ষিণ নাসায় শ্বাস বহনকালে পঞ্চপদ গমন করে দাড়াবে। কিছুক্ষণ দাড়ায়ে পরে প্রথমে যে পদ অগ্রে যাত্রা করেছ আবার সেই পদ অগ্রে বাড়ায়ে যথেচ্ছা চলে যাবে। বার বিশেষে যে পদক্ষেপনের যে নিয়ম বলা হয়েছে অর্থাৎ যেবার যতবার পদক্ষেপন করতে হবে তা বাম ও দক্ষিণ নাসায় বায়ূ বহনকালে একই নিয়ম হবে।
No comments:
Post a Comment