নারায়ণের পূজার্চ্চনা পদ্ধতি :
হাতের তালুতে দু-এক ফোঁটা জল নিয়ে ‘ওঁ বিষ্ণু’ মন্ত্রে পান করবেন। মোট তিন বার এইভাবে জল পান করতে হবে। তারপর করজোড়ে বলবেন—
ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্।
ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা।
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।
জল শুদ্ধি:
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি। নর্মদে সিন্ধু-কাবেরি জলেঽস্মিন সন্নিধিং কুরু ।।
পুষ্প শুদ্ধি:
পুষ্পে পুষ্পে মহা পুষ্পে সুপুষ্পে পুস্পসম্ভবে
পুষ্পোহী চায়াব কীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা।।
আসন শুদ্ধি:
যে আসনে বসিয়া পূজা করিবে, তাহার নিম্নে ত্রিকোণ মণ্ডল লিখিয়া আসনের উপর একটি পুষ্প দিয়া পাঠ করিবে, এতে গন্ধপুষ্পে ওঁহ্রীঁ আধার শক্তি-কমলাসনায় নমঃ।
তৎপরে আসন ধরিয়া পাঠ করিবে, - আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কুর্ম্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ।
অনন্তর হাত জোড় করিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকাদেবি ত্ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা। ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম্।
তারপর পবিত্র বাদ্য ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে স্বস্তিবাচন করবেন—
স্বস্তিবাচন:
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্ত্যি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ। স্বস্তি নস্তার্ক্ষ্যোঅরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।। ওঁ গণানাং ত্বা গণপতিগুং হবামহে, ওঁ প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতিগুং হবামহে, ওঁ নিধীনাং ত্বা নিধিপতিগুং হবামহে, বসো মম। ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।
তারপর একে একে গণেশ, শ্রীগুরু, শিব, সূর্য, নারায়ণ, দুর্গা, নবগ্রহ, দশমহাবিদ্যা, দশাবতার, সর্বদেবদেবী ও আপনার ঠাকুরের আসনে অন্যান্য ঠাকুরদেবতা থাকলে তাঁদেরকে এবং আপনার ইষ্টদেবতাকে প্রত্যেককে একটি করে সচন্দন ফুল দিয়ে পূজা করবেন।
গনেশের প্রনামঃ
ঔঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজানন।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।
গুরু প্রনামঃ
ঔঁ অখণ্ডমণ্ডালাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্।
তৎপদং দশি‘তং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।১
অঞ্জানতিমিরান্ধস্য ঞ্জানাঞ্জন শলাকায়া।
চক্ষু রুল্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।২.
গুরু ব্রক্ষা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ।
গুরুঃ সাক্ষাৎ পরং ব্রক্ষ তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।৩
শিবের প্রনাম মন্ত্রঃ
ওঁ নমস্তভ্যঃ বিরূপাক্ষ নমস্তে দিব্যচক্ষুসে নমঃ ।
পিণাকহস্তায় বজ্রহস্তায় বৈ নমঃ ।।
নমত্রিশূলহস্তায় দন্ড পাশাংসিপাণয়ে ।
নমঃ স্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ ।।
ওঁ বানেশ্বরায় নরকার্ণবতারনায় , জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়সাগরায় ।
কর্পূরকুন্ডবলেন্দুজটাধরায় , দারিদ্রদুঃখদহনায় নমঃ শিবায় ।।
ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে ।
নিবেদয়ানি চাত্মানংত্তৃংগতিপরমেশ্বরঃ ।।
দূর্গা প্রণামঃ
ওঁ জয়ন্তি,মঙ্গলা, কালী,ভদ্রকালী,কপালিনী।
দূর্গা,শিবা,ক্ষমা,ধাত্রি,স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।।
নারায়ণের প্রনামঃ
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ।।
সূর্যপ্রণাম:
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোঽস্মি দিবাকরম্।।
নারায়ণের স্নান:
ধ্যানান্তে নিম্নোক্ত মন্ত্রে ঘণ্টা বাজাইতে বাজাইতে স্নান করাইবে—
ওঁ সহস্রশীর্ষা পুরুষঃ সহস্রাক্ষ সহস্রপাৎ।
স ভূমিং সর্বতঃ স্পৃত্বা অত্যত্তিষ্ঠদ্দশাঙ্গুলাম্।।
ওঁ নারায়ণায় বিদ্মহে বাসুদেবায় ধীমহি তন্নো বিষ্ণুঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।।
স্নানান্তে ‘ওঁ নমস্তে বহুরূপায় বিষ্ণবে পরমাত্মনে স্বাহা’ মন্ত্রে দুইটি তুলসীপত্র ৺নারায়ণের উপরে ও নীচে দিবেন।
নারায়ণের ধ্যান:
কূর্মমুদ্রায় পুষ্প লইয়া পূর্ববৎ ধ্যান করিবে—
ওঁ ধ্যেয়ঃ সদা সবিতৃমণ্ডলমধ্যবর্তী নারায়ণঃ সরসিজাসনসন্নিবিষ্টঃ।
কেয়ূরবান্ কনককুণ্ডলবান্ কিরীটীহারী হিরণ্ময়বপুর্ধৃতশঙ্খচক্রঃ।।
পঞ্চপচারে নারায়ণ পূজা :
ওঁ নমো নারায়ণায় এষ গন্ধঃ নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় ইদং সচন্দনপুষ্পং নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় ইদং সচন্দনতুলসীপত্রং ওঁ নমস্তে বহুরূপায় বিষ্ণবে পরমাত্মনে স্বাহা নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় এষ ধূপঃ নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় এষ দীপঃ নারায়ণায় নমঃ।
ওঁ নমো নারায়ণায় ইদং নৈবেদ্যং নারায়ণায় নমঃ।
নারায়ণের প্রনামঃ
ওঁ ত্রৈলোক্যপূজিতঃ শ্রীমান্ সদাবিজয়বর্ধনঃ।
শান্তিং কুরু গদাপাণে নারায়ণ নমোঽস্তু তে।।
নম ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ
লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান মন্ত্র:
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষিতাম্।
রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
শ্রীশ্রীলক্ষ্মী স্তোত্রম্:
ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।
(তিন বার পাঠ করতে হবে)
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র:
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
শ্রীশ্রীলক্ষ্মীদেবীর প্রণাম মন্ত্র
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তু তে।।
চরণামৃত লওয়ার মন্ত্র-
ওঁ অকাল-মৃত্যু-হরণং সর্ব্ব ব্যাধি-বিনাশনং ।
কৃষ্ণ পাদোদকং পীত্বা শিরসা ধারয়াম্যহং ।।
সংগ্রহীত
No comments:
Post a Comment