হিন্দুধর্মের আলো,এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু (সনাতন) ধর্মের একটি পুর্নাঙ্গ ওয়েব পোর্টাল গড়ার প্রচেষ্টায় কাজ করছে। এই সাইটের মূল উদ্দেশ্য হলো হিন্দুধর্মের প্রচার। এই ব্লগ সাইটটি হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন মন্ত্র, বিভিন্ন পূজা-অর্চনা, আরতি, ধ্যান,দশবিধ সংস্কার, তিলক,আরাধনা,বিভিন্ন ব্রত পালনসহ বিস্তারিত জানতে পারবেন।এই সাইটি বড় তথ্যের ভান্ডার করতে কিছু পোস্ট ফেসবুক ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়ে। এই ব্লগ পোস্ট সমূহ নিয়মিত শেয়ার করে হিন্দুধর্ম প্রচার বৃদ্ধিতে সাহায্য করবেন।

  • This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

হিন্দুধর্মে অন্নপ্রাশন বিধি

হিন্দুধর্মে অন্নপ্রাশন বিধি:

অন্নপ্রাশন কি?
হিন্দুধর্মীয সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ উৎসব। দশবিধ শুদ্ধিজনক সংস্কারের অন্যতম একটি হচ্ছে অন্নপ্রাশন। অন্নপ্রাশন হল হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত একটি জনপ্রিয় প্রথা। অন্নের প্রাশন বা ভোজনকে অন্নপ্রাশন বলে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।  ‘অন্ন’ শব্দের সাধারণ অর্থ যে-কোনো খাবার, বিশেষ অর্থ ভাত; আর ‘প্রাশন’ শব্দের অর্থ খাওয়া। তাই শিশুর প্রথম ভাত খাওয়া অনুষ্ঠানকেই বলা হয় অন্নপ্রাশন।

আক্ষরিক ভাবে এর অর্থ হল ‘প্রথম ভাত খাওয়া শুরু করা‘,এর মধ্য দিয়ে একটি শিশুকে শুধুমাত্র তরল খাদ্য থেকে কঠিণ খাদ্য দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।  অন্যভাবে এই অনুষ্ঠানটিকে বলা হয় ‘মুখে ভাত’। মানে হচ্ছে আপনার শিশুর জীবনে মায়ের দুধের পর প্রথম শক্ত খাবারের যাত্রা শুরু। অর্থাৎ এই অনুষ্ঠানের পর থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবার দেওয়া শুরু হয়। সাধারণত বাঙালীদের মধ্যেই এই অনুষ্ঠানের প্রচলিত রয়েছে এবং দেশের বেশিরভাগ অংশেই কিছুটা ব্যতিক্রমীভাবে হলেও এই অনুষ্ঠানটি করা হয়ে থাকে।সনাতন ধর্মে বলা হয়, শিশুর দাঁত উঠার আগেই অন্নপ্রাশন করা উচিত।
এই অনুষ্ঠানের পরবর্তীকাল থেকে বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়িয়ে তাদের শুধুমাত্র শক্ত খাদ্য গ্রহণ অভ্যাস করানো শুরু করা হয়।

কি ধরনের খাবার সাধারণত শিশুকে দেওয়া হয়?
শিশুর প্রথম শক্ত খাবার হিসাবে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়াতে চাইলে ক্ষীর বা পায়েসই দেওয়া হয়ে থাকে। অথবা সাদা ভাত একটু ঘি দিয়ে নরম করে তারপর দেয় অনেকেই। অনেকে আবার এর সঙ্গে বিশেষভাবে রান্না করা ডালও যোগ করে থাকেন। তবে মজার বিষয় হলো, শিশুর সামনে সাধারণত মাছ, মাংস, নিরামিষসহ সব ধরনের খাবারই অল্প অল্প করে সুন্দর করে পৃথক বাটিতে সাজিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়ানো হয় সামান্যই। পরে সেই খাবার অন্যদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়।

অন্নপ্রাশন করার সময়ঃ
এদিন সাধারণত শিশুর মামা তাকে প্রথম খাইয়ে দেন। অন্নপ্রাশনের জন্য ছেলেশিশুর ৬ বা ৮ মাস এবং মেয়েশিশুর ৭ বা ৯ মাস বয়সকে উপযোগী মনে করা হয়। এ সময় শিশুর নামকরণও করা হয়। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজনরা নিমন্ত্রিত হয় এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাপূর্বক শিশুকে উপহারসহ আশীর্বাদ করে। এ অনুষ্ঠান ঘরেও হতে পারে, কিংবা কোনো মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সম্পূর্ণ ধর্মীয় পরিবেশে এ অনুষ্ঠান করার শাস্ত্রীয় বিধান থাকলেও ইদানীং তা অনেকটা শিথিল হয়েছে; তবে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব এখনও অটুট রয়েছে।

কিভাবে হয় এই অন্নপ্রাশন?
বাবা-মা বা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা এজন্য একটি শুভ দিনক্ষণ ঠিক করেন। বাচ্চাকে নতুন কাপড় পরানো হয়। সাধারণত শিশুর স্বাস্থ্য, কল্যাণ আর সমৃদ্ধি কামনা করে শুরুতেই ধর্মীয় কিছু আচার-আচরণ পালন করতে হয়। এরপরেই তার মুখে ভাত তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের উপরই নির্ভর করে কে এই ভাত তুলে দেবেন। মূলত এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে শিশুর জন্মের পর একটি পরিবারে নিকটজনদের পুনর্মিলনী।
ধর্মীয় বিভিন্ন আচারের মধ্যে একটি হচ্ছে, কলা পাতা বা কাঁসার বড় থালায় করে কলম, খাতা, টাকা, অলংকার, মাটি, ধান জাতীয় বেশকিছু জিনিস রেখে দেওয়া হয় এবং শিশুটির সামনে তা তুলে ধরা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, শিশুটি হাত বাড়িয়ে যে জিনিসটা ধরবে, অর্থাৎ সে যে জিনিসটার প্রতি আকৃষ্ট হবে, বড় হয়ে সে সেটাই হবে। যেমন, কোন শিশু যদি কলম-খাতা ধরে তবে বলা হয় সে বড় হয়ে লেখাপড়া জানা মানুষ হবে, বিদ্বান হবে। আবার সে যদি টাকায় হাত দেয়, তার মানে সে ব্যবসায়ী জাতীয় কিছু হবে। মাটি ধরলে জমিবাড়ির মালিক হবে। ধান ধরলে কৃষিকাজে মনোযোগী হবে। মনে রাখতে হবে, এগুলো সবই ধর্মীয় বিধান থেকে উদ্ভুত ধারণা, বাস্তবের সাথে মিল হয়তো কমই পাওয়া যাবে।


এই অনুষ্ঠানটি কোথায় হয়ে থাকে?
সাধারণত নিজ বাড়ি অথবা নানা/দাদার বাড়িতে অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রচলিত আছে, মামাকেই প্রথম ভাত তুলে দিতে হয় বোনের সন্তানের মুখে। অনুষ্ঠানটির সঙ্গে ধর্মীয় কিছু বিষয় জড়িত বলে যারা এর আচার বিষয়ে জানেন, তাদের ডেকে নেওয়াই ভাল।

অন্নপ্রাশণ অনুষ্ঠানটি কেন পালন করা হয়?
অন্নপ্রাশণ অনুষ্ঠানটি শিশুর বৃদ্ধির পরবর্তী ধাপকে সূচিত করে।যদি বৈদিক যুগে ফিরে যাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে যে অন্নপ্রাশণ অনূষ্ঠানটি তখন সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া, ইরান,এমনকি পারস্যের মানুষজনেরাও পালন করতেন।অভিভাবকদের সংস্কৃতি এবং তাদের বাসস্থানের ভৌগলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে এই অনুষ্ঠানটি শিশুদের পাঁচ থেকে নয় মাস বয়সের মধ্যে কোন না কোন সময়ে পালন করা যেতে পারে। ঐতিহ্য অনুযায়ী সাধারণত চার মাসের কম বা এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের অন্নপ্রাশণ করা হয় না।এই অনুষ্ঠনের গুরুত্ব এতই বেশি যে সকল আত্মীয় স্বজনরা আমন্ত্রিত হন,যেখানে একটি বড় জায়গায় বিরাট ভোজের আয়োজন করা হয় এবং অনুষ্ঠানটির জন্য একটা শুভক্ষণ বেছে নিয়ে পুরোহিতরা উপস্থিত থেকে অন্নপ্রাশণের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।


অন্নপ্রাশন বা মুখে ভাত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কিছু টিপস:
* অনুষ্ঠানের আগে আপনার এবং আপনার শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন।
* সকালে স্নান বা গোসলের পর এবং দিনের বেলায় ঘুমের মাঝখানের সময়টাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।
* শিশু যাতে বেশি পরিমাণে উত্তেজিত না হয়ে পড়ে সেজন্য অনুষ্ঠানটি যথাসম্ভব পরিবারের খুব কাছের মানুষজনের মধ্যে সীমিত রাখা।
* শিশুকে কি কাপড় পরাচ্ছেন সেটি বিশেষভাবে জরুরি। পোশাক যেন বেশি ঝলমলে না হয়, অর্থাৎ জরি বা গ্লাস সেট করা বা ভারী অ্যাম্ব্রয়ডারি করা কোন কাপড় শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
* শিশুকে খাওয়াচ্ছেন যিনি তার হাতটা পরিস্কার রাখা খুব জরুরি।
* শিশুর খাবার যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রেখে রান্না করা হয়। মনে রাখবেন, প্রথম খাবারেই যদি কোনরকম উল্টাপাল্টা কিছু ঘটে, তাহলে অনেকদিন হয়তো এ নিয়ে আপনাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই সম্ভব হলে অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজেই প্রথম রান্নাটি করুন। এতে একধরনের মানসিক প্রশান্তিও আপনি অনুভব করবেন।
* শিশুকে খাওয়ানোর পর তার মুখের চারপাশে লেগে থাকা খাবার মুছে দেওয়ার জন্য একটি ছোট্ট টাওয়েল সাথে রাখুন।
* একজন ছাড়া যদি আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের কেউ শিশুকে খাওয়াতে চান তবে লক্ষ্য রাখুন তার হাত পরিস্কার কিনা, আর তা যেন নামমাত্র খাবার হয়।
* এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র শিশুর জীবনেই না, তার বাবা-মায়ের জন্যও খুব আনন্দের। কাজেই সামর্থ্য থাকলে একটা নতুন কাপড় এই অছিলায় নিয়ে নিন না। মন ভাল লাগবে।
* তাছাড়া, অনুষ্ঠানে যারা আসছেন তাদের জন্য ছোট্ট কোন উপহারের ব্যবস্থা আপনি রাখতে পারেন। এতে অতিথিরাও খুশি হবেন।
* সবচেয়ে বড় কথা, শিশুর জন্মের পর এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান স্মৃতিতে ধরে রাখার বিকল্প নেই। কাজেই ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা রেখে দিন যত্নের সাথে। আপনার শিশুর সারাজীবনের আনন্দের সঙ্গী হয়ে থাকবে এই অনুষ্ঠানটি, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
Share:

ব্রাহ্মণ ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্রদের কর্ম

ব্রাহ্মণ ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্রদের কর্ম


ব্রাহ্মণ কে ?
'যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত,অহিংস,সৎ,নিষ্ঠাবান,সুশৃঙ্খল, বেদ প্রচারকারী,বেদ জ্ঞানী সেই ব্রাক্ষ্মণ। ঋগ্বেদ, ৭/১০৩/৮
'ব্রাক্ষ্মনরা নিজো স্বার্থত্যগ করে কাজ করবেন, বেদ পড়বেন, এবং তা অপরকে শেখাবেন'। মনুসংহিতা, ১/৮৮

১) মন নিগ্রহ করা,
২) ইন্দ্রিয়কে বশে রাখা,
৩) ধর্মপালনের জন্য কষ্ট স্বীকার করা,
৪) বাহ্যান্তর শুচি রাখা,
৫) অপরের অপরাধ ক্ষমা করা,
৬) কায়-মনো-বাক্যে সরল থাকা,
৭) বেদ-শাস্ত্রাদিতে জ্ঞান সম্পাদন করা,
৮) যজ্ঞবিধি অনুভব করা,
৯) পরমাত্মা, বেদ ইত্যাদিতে বিশ্বাস রাখা,এই সবই হর ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত কর্ম বা লক্ষণ।। গীতা, ১৮/৪২

অর্থাৎ এই সব গুণ যার মধ্যে থাকবে, সে নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে দাবি করতে পারবেন। হোক সে ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র তবুও সে ব্রাহ্মণ হতে পারবে। জন্মগত ভাবে কেউ ব্রাহ্মণ নয়,কর্মের মাধ্যমে হতে হয়।

ক্ষত্রিয় কে?
'যে দৃঢ়ভাবে আচার পালনকারী, সৎ কর্ম দ্বারা শুদ্ধধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন, অহিংস, ঈশ্বর সাধক, সত্যের ধারক ন্যায়পরায়ণ ,বিদ্বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা,অসৎ এর বিনাশকারী সে ক্ষত্রিয়। (ঋগ্বেদ, ১০/৬৬/৮)
'ক্ষত্রিয়রা বেদ পড়বে, লোকরক্ষা ও রাজ্য পরিচালনায় নিযুক্ত থাকবে।" (মনুসংহিতা, ১/৮৯)
১) শৌর্য,
২) তেজ বা বীর্য,
৩) ধৈর্য,
৪) প্রজা প্রতিপালনের দক্ষতা,
৫) যুদ্ধে পশ্চাদপসরণ না করা,
৬) মুক্ত হস্তে দান করা,
৭) শাসন করার ক্ষমতা,এগুলি হল ক্ষত্রিয়ের স্বাভাবিক কর্ম। গীতা ১৮/৪৩

অর্থাৎ এই সব গুণ যার মধ্যে থাকবে, সে নিজেকে ক্ষত্রিয় বলে দাবি করতে পারবেন। হোক সে ব্রাহ্মণ, বৈশ্য, শূদ্র তবুও সে ক্ষত্রিয় হতে পারবে। জন্মগত ভাবে কেউ ক্ষত্রিয় নয়,কর্মের মাধ্যমে হতে হয়।

বৈশ্য কে.?...
'যে দক্ষ ব্যবসায়ী,দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী সেই বৈশ্য। অথর্ববেদ, ৩/১৫/১
'বৈশ্যরা বেদ পড়বে,ব্যবসা ও কৃষিকর্মে নিজেদের নিযুক্ত থাকবে।মনুসংহিতা, ১/৯০
১) চাষ করা,
২) গো-রক্ষা করা,
৩) ব্যবসা-বাণিজ্য ও সত্য ব্যবহার করা,এগুলি হলো বৈশ্যদের স্বাভাবিক কর্ম। গীতা ১৮/৪৪

অর্থাৎ এই সব গুণ যার মধ্যে থাকবে, সে নিজেকে বৈশ্য বলে দাবি করতে পারবেন। হোক সে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, শূদ্র তবুও সে বৈশ্য হতে পারবে। জন্মগত ভাবে কেউ বৈশ্য নয়,কর্মের মাধ্যমে হতে হয়।

শূদ্র কে.?
যে অদম্য,পরিশ্রমী,অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা, লোভমুক্ত কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র।
ঋগ্বেদ, ১০/৯৪/১১
'শুদ্ররা বেদ পড়বে, এবং সেবা মুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে।মনুসংহিতা, ১/৯১

অর্থাৎ যিনি সেবা মুলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থাকবে, তিনি শূদ্র বর্ণে অন্তর্ভুক্ত হবেন। হোক সে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় বৈশ্য,তবুও সে শূদ্র হয়ে যাবেন। জন্মগত ভাবে যিনি শূদ্র, তিনি কর্মের দ্বারা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, হতে পারবেন। 



আমি তো ব্রাহ্মণ নই, আমি কি ঈশ্বরের পুজা করার অধিকার রাখি?

উত্তরঃ বেদের সব থেকে প্রসিদ্ধ গায়েত্রি মন্ত্র কোন জন্মগত ব্রাহ্মণ পাননি। গায়েত্রি মন্ত্রের ঋষি বিশ্বামিত্র ছিলেন ক্ষত্রিয়। সেই মন্ত্র ব্যেতিরেকে কোন ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণই নন।
কৌষিতকি উপনিষদ === ঋষি উদ্দালকের পুত্র শ্বেতকেতু, অহংয়ের কারনে রাজা চিত্র কর্তিত পৃষ্ঠ (জ্ঞান দ্বারা পৃষ্ট) হইয়া পিতা সমেত তাহার শিষ্যত্ব গ্রহন করেছিলেন।

গীতাতেও [৪.১৩] কৃষ্ণ বলেছেন আমি চতুর্বর্ণ সৃষ্টি করিয়াছি গুন ও কর্ম অনুসারে।


ভাগবতে ৭.১১.৩৫ === পুরুষের বর্ণ নির্ণয়ের জন্য যে যে লক্ষন বলা হয়েছে তাহা যদি অন্য বর্ণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তবে যে বর্ণের সাথে তাহার লক্ষন মেলে তাহাকে সেই বর্ণের লোক বলেই বুঝতে হবে।


ব্রাহ্মণ শব্দটা এসেছে ব্রহ্ম থেকে,এক অর্থে, যার রয়েছে ব্রহ্মজ্ঞান সেই ব্রাহ্মণ।বর্ণপ্রথা পাকাপোক্ত হয়ে সনাতন ধর্মে চেপে বসার আগে ব্রাহ্মণ হতে পারতেন যে কেউ। মহাভারতের শান্তিপর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, ব্রহ্মা প্রথমে সমগ্র জগৎ ব্রাহ্মণময় করেছিলেন, পরে কর্মানুসারে সকলে নানা বর্ণত্ব প্রাপ্ত হয়; কেউ হয় ব্রাহ্মণ, কেউ ক্ষত্রিয়, কেউ বৈশ্য এবং কেউ বা শূদ্র। মহাভারতে আরও বলা হয়েছে যে, যিনি সদাচারী ও সর্বভূতে মিত্রভাবাপন্ন, যিনি কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ ত্যাগ করেছেন, যিনি সন্তোষকারী, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয় ও শাস্ত্রজ্ঞ, তিনিই ব্রাহ্মণ; অর্থাৎ গুণ ও কর্মানুসারে ব্রাহ্মণাদি চতুর্বর্ণের সৃষ্টি, জন্মানুসারে নয়। পরবর্তীকালে অবশ্য জন্মসূত্রে বর্ণ নির্ধারণ-ব্যবস্থা প্রচলিত হয়। ব্রাহ্মণদের মধ্যে নানা শ্রেণিভেদ আছে। অনেকের মতে এই শ্রেণির সংখ্যা ২০০০। এক সারস্বত ব্রাহ্মণদের মধ্যেই ৪৬৯টি শাখা আছে। শ্রেণি অনুযায়ী ব্রাহ্মণদের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয়। বাংলায় আচার্য বা গণক এবং শাকদীপি ব্রাহ্মণেরা পতিত বলে গণ্য হয়। তেমনি অগ্রদানী, ভাট ও পিরালি ব্রাহ্মণরাও সমাজে হীন।নৃতাত্ত্বিক বিচারে বাংলার ব্রাহ্মণদের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের ব্রাহ্মণদের মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। তাদের খুব কম সংখ্যকই আর্য বংশোদ্ভূত। বাংলার ব্রাহ্মণদের শারীরিক গঠন দেখলেই বোঝা যায় আর্যদের বিশুদ্ধ রক্ত নয়।
তারা চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকে বাংলায় আসেন এবং তাদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। তবে পাল আমলে বৌদ্ধধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া এবং যাগ-যজ্ঞ ভুলে যাওয়ার ফলে তাদের পতিত ও শূদ্রে পরিণত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।


মনুস্মৃতিতেই উল্লেখ রয়েছে ২.১৬৮ বেদ জ্ঞানহীন ব্রাহ্মণ স্ববংশ শূদ্রে পরিণত হয়। বল্লালসেন কৌলীন্য প্রথা প্রচলন করেন।মানব জাতির মধ্যে ব্রাহ্মণ, বৈশ্য, শুদ্রের পদচিহৃ একই ধরনের। প্রাণীদের মধ্যে স্ত্রী, পুরুষ, বর্ণ, শারীরিক গঠন, লোম, চঞ্চু. প্রভৃতি পার্থক্য আছে। কিন্তু মানুষ মানুষে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না। বুদ্ধ মতে, যে-কোন ব্যক্তি সৎকর্ম করলে ব্রাহ্মণের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারেন। সৎভাব ও কৃচ্ছসাধনের দ্বারা যে-কোনও লোক ব্রাহ্মণত্ব অর্জন করতে পারেন।বনের প্রাণীরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। ঠিক তেমনি প্রকৃত শ্রমণ বা ব্রাহ্মণ ধ্যানপরায়ণ হলে শোভা পায় এবং অনাসক্ত, নিষ্কলুষ, রজঃযুক্ত লোভ-দ্বেষ-মোহবিহীন হয়।


পবিত্র বেদ অনুযায়ী যে-কোনও কেউ-ই যদি শাস্ত্রপাঠের মাধ্যমে জ্ঞানী হতে পারে তবে সে যজ্ঞ করতে সক্ষম। পবিত্র বেদের বর্ণাশ্রম কর্ম ও গুণভিত্তিক, জন্মভিত্তিক নয়। আর তাই-ই আইন করে প্রতিষ্ঠিত করল দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। আর এই রায়ের মাধ্যমে পৌরাণিক ব্রাহ্মণ্যবাদ ও মূর্খদের বর্ণপ্রথার দর্প চূর্ণ হল, বিজয় লাভ করল পৃথিবীর কোটি কোটি তথাকথিত দলিত, পদহত, শূদ্র সনাতন ধর্মালম্বী মহৎ প্রাণগণ।


শাস্ত্র বলছে ব্রাহ্মণ-ঘরে জন্মালেই কেউ ব্রাহ্মণ হয়ে যায় না, যেমন মুসলমান-ঘরে জন্মালেই কেউ মুসলমান হয় না। বিশেষ নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেমন মুসলমান হতে হয়, তেমনই ব্রাহ্মণ হয়ে ওঠার জন্য বেশ কিছু নিয়ম করার বিধান দিয়েছে শাস্ত্র। বল্লালচরিত্র ধৃত পূর্ব খণ্ডের ১৩ অধ্যায়ে বলা হয়েছে – “জন্মনা জায়তে শূদ্রঃ সংস্কারাদ্দ্বিজ উচ্যতে। বেদ পাঠী ভবেদ্বিপ্রঃ ব্রহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণঃ”।।
অর্থাৎ, “জন্মমাত্রেই সবাই শূদ্র। সংস্কারে দ্বিজ পদবাচ্য হয়। বেদ পাঠেই বিপ্র হন এবং ব্রহ্মকে জানলেই ব্রাহ্মণ পদবাচ্য”।

ভণ্ড ব্রাহ্মণ শূদ্রের থেকেও পতিত এদের দান করলে, দাতার নরক গমন হয়। সুতরাং বর্তমান পতিত ভণ্ড ব্রাহ্মণ কে দান করে নিজের ও সংসারের ক্ষতি করবেন না। সেই দান গরিবদুঃখীদের করুন নিজের মঙ্গল হবে।
(১) সত্যকাম জাবাল ছিলেন এক পতিতার পুত্র যিনি পরে একজন ব্রাহ্মণ হন।
(২) প্রীষধ ছিলেন রাজা দক্ষের পুত্র যিনি পরে শূদ্র হন।
(৩) ধৃষ্ট ছিলেন নবগের (বৈশ্য) পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং তার পুত্র হন ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.২.২)
(৪) রাথোটর জন্ম নেন ক্ষত্রিয় পরিবারে এবং পরে ব্রাহ্মণ হন বিষ্ণু পুরাণ ও ভাগবত অনুযায়ী।
(৫) হরিৎ ব্রাহ্মণ হন ক্ষত্রিয়ের ঘরে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৩.৫)
(৬) শৌনক ব্রাহ্মণ হন যদিও ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম হয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৮.১) এমনকি বায়ু পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও হরিবংশ পুরাণ অনুযায়ী শৌনক ঋষির পুত্রেরা সকল বর্ণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। একই ধরনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় গ্রীতসমদ, বিতব্য ও বৃৎসমতির মধ্যে।
(৭) মাতঙ্গ ছিলেন চন্ডালের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন।
(৮) রাবণ জন্মেছিলেন ঋষি পুলৎস্যেরঘরে কিন্তু পরে রাক্ষস হন।
(৯) বিশ্বামিত্রের পুত্রেরা শূদ্র হন। বিশ্বামিত্র নিজে ছিলেন ক্ষত্রিয় যিনি পরে ব্রাহ্মণ হন।
(১০) বিদুর ছিলেন এক চাকরের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং হস্তিনাপুর রাজ্যের মন্ত্রী হন।

“শূদ্র” শব্দটি বেদে দেখা গেছে প্রায় ২০ বারের মতো। কোথাও এটি অবমাননাকরভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কোথাও বলা হয়নি শূদ্রেরা হলো অস্পর্শযোগ্য, জন্মগতভাবে এই অবস্থাণে, বেদ শিক্ষা হতে অনুনোমোদিত, অন্যান্য বর্ণের তুলনায় নিম্ন অবস্থাণের, যজ্ঞে অনুনোমোদিত।


বেদে বলা হয়েছে শূদ্র বলতে বোঝায় কঠিন পরিশ্রমী ব্যক্তি। (তপসে শূদ্রম্ – যজুর্বেদ ৩০.৫) একারণেই পুরুষ সুক্ত এদের ঘোষনা দিয়েছে মানব সভ্যতার কাঠামো হিসেবে। এজন্যেই পবিত্র বেদ ঘোষনা করেছে সাম্যের বানী-


অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস এতে সং ভ্রাতারো তাবৃধুঃ সৌভগায় যুবা পিতা স্বপা রুদ্র এযাং সুদুঘা পুশ্নিঃ সুদিনা মরুদ্ভঃ ॥(ঋগবেদ ৫.৬০.৫)


(সংগৃহীত)
Share:

দুঃখ-কষ্ট অভাব ও অশান্তি থেকে মুক্তি পাবার মন্ত্র

দুঃখ-কষ্ট অভাব ও অশান্তি থেকে  মুক্তি পাবার মন্ত্র :


ভাল-খারাপ নিয়েই আমাদের জীবন। সবসময় যে চলার পথ মসৃণ হবে তা নয়৷ কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির নাগপাশে জড়িয়ে মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন উঁকি দেয়, “আমার ভাগ্য কবে ফিরবে?” জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, এই চারটি মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে আপনার জীবনে খুশির সূর্যোদয় হবেই হবে!


গণেশের মন্ত্র: ধর্মীয় গুরুদের মতে এই মন্ত্রটি দিনে অন্তত ১০৮ বার পাঠ করলে ফল মিলতে বাধ্য।বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। মন্ত্রটি হল- “ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।” প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনবেন না। তাহলেই সুফল মিলতে শুরু করবে।

লক্ষ্মী মন্ত্র:  অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি আসে, স্থিরতা আসে সে দিকেও খেয়াল রাখে। একথায় বলা যাতে পারে সার্বিক খুশির চাবিকাঠি হল এই মন্ত্রটি।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। তবে তার আগে মা লক্ষ্মীর ছবিতে ফুল দিন। ধুপ -ধূনো জ্বালান। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। দিনে পাঁচ বার, টানা ১১ দিন এই লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করলেই ফল মিলবে। মন্ত্রটি হল- “ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।”

দূর্গা মন্ত্র: এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে জীবন খুশিতে ভরে উঠবে৷ অশুভ ছায়া সঙ্গ ছাড়বে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি প্রতি দিন কম করে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তবেই মিলবে সুফল। মন্ত্রটি হল- “দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।”


ধন্যবাদ
Share:

হিন্দু মেয়েদের অর্থসহ নামের তালিকা

হিন্দু মেয়েদের অর্থসহ নামের তালিকা:




অচলা - গতিহীন

 অজন্তা - গুহাবিশেষ

 অজপা - বিনা আয়াসে

 অজলা - পৃথিবী

 অঞ্চিতা - পুজনীয়া

 অঞ্জনা - শাপভ্রষ্টা অপ্সরা, ঈশানদিকের দিককারিণী, হনুমানের জননী

 অঞ্জলি - যুক্তকর

 অণিমা -সূক্ষ্মত্ব

 অতসী - পুষ্পবিশেষ

 অদিতি - দক্ষ প্রজাপতির কন্যা, কশ্যপের স্ত্রী

 অনন্যা - একমাত্র, অদ্বিতীয়

 অনসূয়া - শকুন্তলার সখী, ঈর্ষার অভাব, মহর্ষি অত্রির স্ত্রী

 অনিন্দিতা - নিন্দার যোগ্য নয়

 অনিশা - নিরবচ্ছিন্য

 অনীকিনী - সৈন্যবাহিনীবিশেষ

 অনুপমা - তুলনাহীনা

 অনুপ্রভা - ঔজ্বল্য

 অনুমিতা - সম্ভবতঃ অনুমিত থেকে

 অনুমিতি - অনুমান, ব্যাপ্তিজ্ঞান দ্বারা লব্ধ জ্ঞান

 অনুরাধা - উজ্জ্বল নক্ষত্র

 অনুশ্রী - সুন্দরী

 অঙ্কিতা - চিহ্ন

 অন্তরা - আস্থায়ী ও আভোগের মধ্যে উচ্চারিত সুর

 অপরাজিতা - পরাজিত হয় নি যে, এক ধরণের ফুল, দুর্গা

 অপর্ণা - দুর্গা, পার্বতী

 অবন্তিকা - উজ্জয়িনীর রাজকুমারী

 অবন্তী - মালবদেশ, উজ্জয়িনী

 অভয়া - ভয়হীনা

 অমৃতা - মৃত্যুহীনা

 অরুণা - সন্ধ্যা, কশ্যপের পত্নী - দক্ষের কন্যা

 অরুন্ধতী - বশিষ্ঠের পত্নি, সপ্তর্ষিমণ্ডলের পাশে একটি তারা

 অর্চনা - পুজা

 অর্চিতা - যাকে পুজা করা হয়

 অর্চিশা - আলোর রশ্মি

 অলকা - গন্ধর্বদের বাসস্থান

 অলকানন্দা - ত্রুটিহীন, স্বর্গগঙ্গা

 অহল্যা - বিরূপতাশূন্যা অদ্বিতীয়া সুন্দরী, গৌতমের স্ত্রী

আকৃতি - আবয়ব

 আগমনী - হিমালয় ও মেনকার কন্যা

 আনন্দিতা - খুশি হয়েছে যে

 আরতি - প্রদিপাদি দিয়ে দেবমূর্তি বরণ

 আরাধনা - উপাসনা

 আলপনা - পিটালির, খড়ি প্রভৃতি রঙের চিত্রাঙ্কন

 ইচ্ছামতি - নদীর নাম

 ইতি - শেষ

 ইতু - সূর্য

 ইন্দিরা - লক্ষ্মী

 ইন্দু - চন্দ্র

 ইন্দুলেখা - চন্দ্রকলা

 ইন্দ্রাণী - ইন্দ্রের স্ত্রী

 ইরা - দক্ষের কন্যা, কশ্যপের স্ত্রী

 ইরাবতী - উত্তরের কন্যা, পরীক্ষিতের স্ত্রী

 ইলা - বৈবস্বত মনুর কন্যা, বুধের পত্নী, পুরুরবার মাতা

 ইষীকা, ইষিকা - কাশতৃণ

ঈশানী - দুর্গা

 ঈশিতা - পরমাত্মা, ঐশ্বর্য

 উজ্জ্বলা - আলোকিতা

 উতালী - আকুল

 উত্তরা - বিরাটরাজের কন্যা, অভিমন্যুর স্ত্রী

 উপমা - তুলনা

 উমা - পার্বতী

 উমা - হিমালয় ও মেনকার কন্যা

 উর্বশী - অপরূপ সুন্দরী স্বর্গ বারাঙ্গণা

 উর্মি - ঢেউ

 উর্মিলা - লক্ষণের স্ত্রী

ঊর্বি - পৃথিবী

 ঊষা - ভোর

 ঊষসী - স্বায়ংসন্ধ্যা, উষারাগরঞ্জিতা, অতীব সুন্দরী

 ঊহিনী - সমষ্টি (অক্ষৌহিণী

 কনীনিকা - চক্ষুর তারা

 কবিতা - পদ্য

 কমলিকা - লক্ষ্মী

 কমলিনী - পদ্মসমূহ

 করবী - ফুলবিশেষ

 কলাপী - কোকিল

 কলাবতী - শিল্পী, পার্বতী

 কলিকা - কুঁড়ি

 কল্পনা - মনগড়া, উদ্ভাবন

 কল্পিতা - যাকে কল্পনা করা হয়েছে

 কল্যাণী - শুভদা, মঙ্গলময়ী

 কল্লোলিনী - কলরবপূর্ণা

 কস্তুরী - মৃগনাভি

 কাকলি - অব্যক্তমধুর ধবনি

 কাজল - কালো

 কাজল - অঞ্জন

 কাদম্বরী - সরস্বতীদেবী

 কাদম্বা - কলহংসী

 কাবেরী - নদীর নাম, দক্ষিণ ভারতীয় নদী

 কামিনী - নারী

 কুঞ্জল - কোকিল

 কুন্দনিকা - সোনার মেয়ে

 কুহেলী - তিমির

 কৃষ্ণা - দ্রৌপদী

 কৃষ্ণকলি -

 কেয়া - পুষ্পবিশেষ

গম্ভীরা - দেবমন্দিরের অভ্যন্তর, গাজন উৎসবের এক অনুষ্ঠানবিশেষ

 গয়না - গহনা

 গরিমা - গুরুত্ব

 গান্ধারী - ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী

 গায়ত্রী - ঋগ্বেদের পবিত্রতম মন্ত্র

 গার্গী - ঋষিপত্নী

 গীতা - ধর্মগ্রন্থ

 গীতি - সঙ্গীত

 গুণকেশী - পুরাণের নাম

 গুর্জরী - রাগিণীবিশেষ, গুজরাটবাসিনী

 গৌতমী -দুর্গা

 গৌরী - গোরবর্ণা নারী, দুর্গা

 চক্রিকা - লক্ষ্মী

 চঞ্চরী - ভ্রমরী

 চঞ্চলা - যে অস্থির, লক্ষ্মী

 চন্দনা - এক রকমরে পাখি, চন্দন গাছ

 চন্দ্রিকা - জ্যোৎস্না

 চন্দ্রিমা - চন্দ্র

 চম্পা - এক রকমের ফুল

 চামেলী - এক রকমের ফুল

 চারুলতা - সুন্দর লতা

 চারুশিলা - সুন্দর স্বভাবা

 চিত্রময়ী - ছবি দিয়ে বর্ণিত

 চিত্রলেখা - ছবির মত সুন্দর

 চিত্রা - ছবি

 চিত্রাঙ্গদা - অর্জুনের স্ত্রী, মণিপুরের রাজকন্যা

 চিত্রিণী - দেহগঠন অনুযায়ী চার প্রকারের নায়িকার এক

 চিন্ময়ী - চৈতন্যস্বরূপ, জ্ঞানময়

 চৈতালী - বসন্তবায়ু, চৈত্রমাসের রবিশস্য

 চৈতি - চৈত্রের কোমল রূপ

 চৈত্রী - চৈত্র-পূর্ণিমা

 চাঁদনী - চন্দ্রালোকিত

জগতী - পৃথিবী, আদ্যদেবী

 জগতি - জগৎকর্তা

 জপমালা - জপের মালা

 জয়জয়ন্তী - রাগিণীবিশেষ

 জয়ন্তী - দুর্গার অষ্টশক্তির একটি

 জয়মালা - জয়ের মালা

 জয়শ্রী - বিজয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, রাগিণীবিশেষ

 জয়া - পার্বতী

 জাগরণী - জাগরণ গান

 জ্যোতির্ময়ী - দীপ্তিময়ী

 জ্যোৎস্না - চন্দ্রালোক

 জুঁই - ফুল বিশেষ

 ঝিলমিল - কম্পিত জ্যোতিঃপ্রকাশ

 ঝিলিক - ক্ষণিক বিদ্যুৎ প্রকাশ

তনয়া - কন্যা

 তনুশ্রী - সুন্দরী

 তমালিকা - তমালপ্রচুর দেশ, তমলুক

 তমিস্রা - অন্ধকার

 তরুণিমা - যৌবন, তারুণ্য

 তাপসী - তপস্বিণী

 তাপ্তি - নদীর নাম

 তামসী - অন্ধকারময়

 তিলোত্তমা - অপ্সরা, তিল তিল করে যার সৌন্দর্য গড়ে উঠেছে

 তিস্তা - নদীবিশেষ

 তৃষ্ণা - পিপাসা

 দময়ন্তী - নলের স্ত্রী

 দয়া - করুণা, পরদুঃখমোচনের প্রবৃত্তি

 দয়িতা - প্রণয়ী

 দামিনী - বিদ্যুৎ

 দীপা - বাতি

 দীপান্বিতা - দেওয়ালি

 দীপালি - দেওয়ালি, দীপশ্রেণী, দীপান্বিতা অমাবস্যা

 দীপিকা - প্রদীপ, জ্যোৎস্না

 দীপ্তি - আলোক

 দৃষ্টি - দেখার ক্ষমতা

 দেবকি - কৃষ্ণের মাতা

 দোলনচাঁপা - ফুলবিশেষ
ধরিণী - পৃথিবী

 ধরিত্রী - পৃথিবী

 ধারা - স্রোত

 ধৃতি - সাহস

 নন্দিতা - আনন্দিতা

 নন্দিনী - দুহিতা, বশিষ্ঠের কামধেনু

 নম্রতা - শান্তভাব, কোমলভাব

 নয়নতারা - ফুলবিশেষ

 নয়না - মৎসবিশেষ

 নিতা - নিমন্ত্রণ

 নিতি - নিত্যর কোমল রূপ

 নিবেদিতা - উৎসর্গ করা হয়েছে যাকে

 নিরঞ্জনা - নির্মলা

 নিশা - রাত

 নীতি - ন্যায়সঙ্গত বিধান

 নীরা - জলীয়

 নীরাজনা - দেবতার আরতি

 নীলা - মণিবিশেষ

 নীলাঞ্জনা - রসাঞ্জন

 নীলিমা - নীলত্ব

 নূপুর - মঞ্জীর, ঘুঙুর
পদ্মিনী - দেহগঠন অনুযায়ী চার প্রকারের নায়িকার এক

 পম্পা - রামাযণে বর্ণিত নদী

 পর্ণী - পত্রযুক্ত

 পল্লবী - কিশলয়

 পরমা - পরম (উৎকৃষ্ট, উত্তম) সম্বন্ধীয়

 পল্লবী - পল্লবযুক্ত

 পাঞ্চালী - দ্রৌপদী

 পাপড়ি - ফুলের দল

 পাপিয়া - পক্ষিবিশেষ

 পার্বতী - হিমালয়কন্যা

 পার্বনী - পার্বনে দেওয়া পারিতোষিক

 পিয়ালি - বৃক্ষবিশেষ

 পুশিদা - লুক্কায়িত

 পুষ্টি - পোষণ, পালন, স্থুলতা

 পূরবী, পুরবী - রাগবিশেষ

 পূর্ণা - ভরতি, ঘাটতি নেই

 পূর্ণিমা - যে তিথিতে চন্দ্র ষোলকলা প্রাপ্ত হয়

 পূর্বা - প্রাচী, অতিতকাল

 পূর্বাশা - পূর্বদিক

 পূর্বিতা - অগ্রগণ্যতা

 পূর্বী - রাগবিশেষ

 পৃতনা - সেনা সংখ্যাবিশেষ

 পৃথা - কুন্তি

 পৌলমী - পুলমার কন্যা

 পৌষালী - পৌষমাস সংক্রান্ত

 প্রতিমা - মূর্তি

 প্রমীলা - রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিতের স্ত্রী

 প্রাচী - সকাল

 প্রাপ্তি - জরাসন্ধের কন্যা, পাওয়া

 প্রিয়া - ভালোবাসার পাত্রী

 প্রীতি - ভালোবাসা

 প্রেমা - ভালোবাসা, স্নেহ, প্রেম

 প্রেরণা - উৎসাহ

 বনলতা - বন্যলতা

 বনিতা - মহিলা

 বন্দনা - পুজো করা

 বর্তিকা - চিত্রভাণ্ড

 বর্ষা - ঋতুবিশেষ, বৃষ্টি

 বসুধারা - পৃথিবী

 বসুমতী - অপ্সরা

 বাগেশ্রী - একট রাগের নাম

 বাণী - সরস্বতী

 বিজয়লক্ষ্মী - জয়শ্রী

 বিজয়া - দুর্গার অষ্টশক্তির একটি, যমভার্যা

 বিনায়িকা - বিশিষ্ট নায়িকা

 বিনিতা, বিনীতা - বিনয়ান্বিত

 বিপাশা - নদীর নাম

 বিভাবরী - রজনী

 বৃতি - বরণ

 বৃন্দা - তুলসী
\n বৃষ্টি - বর্ষা

 বৈরণী - দক্ষের স্ত্রী, অন্য নাম অসিক্লী
Share:

হিন্দু ছেলেদের অর্থসহ নামের তালিকা

হিন্দু  ছেলেদের অর্থসহ নামের তালিকা :



অগ্নি= আগুন

 অর্ক= কিরণ

 অভি= নিকট

 অংশু=আঁশ

 অজয়= পরাজয়

 অরিত্র= দাঁড়, নৌকো

 আদিত্য= সূর্য

 আভাস= প্রকাশ

 আকাশ= গগন

 অমৃত= শুদ্ধ

 অর্ণব= সমুদ্র

 অরন্য= বন

 অন্বেষ= সন্ধানকারী

 অয়ন= শাস্ত্র, বূ্যহপথ, ভহোমি

 অনীক= সৈন্যদল

 অতনু= দেহশূন্য, অনঙ্গদেব

 অদিপ্ত= চির উজ্জ্বল

 অমিয়=অমৃত

 অঙ্কুর= বীজ থেকে সদ্য বেরোনো কুঁড়ি

 অন্তর= মন

 অলোক= আলো

 অরুপ= রূপহীন

 আয়ুষ= দীর্ঘজীবী

 আদৃত= অভিনন্দিত

 আবীর= রং

 অভয়= যার ভয় নেই

 অভীক= ভয়শূন্য

 অখিল= সমস্ত

 অজিত= বিষ্ণুর অবতার

 অনল= আগুন

 অর্জুন= তৃতীয় পাণ্ডব

 অনন্ত= অসীম

 অর্চক= পূজক

 অপূর্ব= চমৎকার

 অশোক= শোক নেই যার

 আশিস= আশীর্বাদ

 অবিনাশ= যার নেই কোনও বিনাশ

 অনিরুদ্ধ= অনর্গল, রোধহীন

 অনির্বাণ= যা কখনো নেভেনা

 অনুপম= অতুলনীয়

 আয়ুষ্মান= আশীর্বাদ

 অংশুমান= দীপ্তিময়

 অমিতাভ= বুদ্ধদেব

 অরবিন্দ= পদ্ম

 অভিমন্যু= লক্ষ্য দ্বারা অপহত ব্যক্তি

 অভিনব= নতুন উপন্যাস,

 অবিরল= যা বিরল নয়

 অভিজিৎ= নক্ষত্র বিশেষ

 অভিষেক= রাজসিংহাসনে স্থাপনের অনুষ্ঠান.

 অনীশ

 অখিলেশ

 অমিত

 অসীম

ইন্দ্র= দেবতা

 ইমন= রাগিণী বিশেষ

 ঈশান= শিব বা মহাদেব

 ওমকার= পবিত্র আওয়াজ

 উন্মেষ= প্রকাশ

 উদ্দীপ্ত= প্রজ্বলিত

 উদিত= উক্ত

 উমাপতি= শিব বা মহাদেব

 উপেন= বিষ্ণু

 উপেন্দ্র= বিষ্ণু / ইন্দ্রের কনিষ্ঠ

 ঋত্বিক= যাজক

 ঋক= স্তুতি

 ঋভু= দেবতা

কৃষ্ণ= কালো

 কর্মা= কাজ

 কর্ণ= কান

 কল্লোল= কোলাহল

 কৈলাস= পাহাড়

 কিঙ্কর= চাকর

 কঙ্কণ= বালা

 কল্যাণ= মঙ্গল

 কমল= পদ্ম

 কলিঙ্গ= জায়গার নাম

 কৌশল= চাল

 কৌশিক= ঋষিপুত্র

 কুশল= ভালো

 কেশব= কৃষ্ণ

 কিশোর= বয়ঃসন্ধিকাল

 কৃশানু= অগ্নি কুন্তল= কেশগুচ্ছ

 কার্তিক= মাস

 কুন্দন

 কুবের

 কুমার

 কৃপাময়

গোবিন্দ

গোকুল

গৌর= ফর্সা

 গগন= আকাশ

 গৌতম=ঋষি

 গৌরব=অহংকার

 গৌরাঙ্গ=গৌর অঙ্গ যার

 গিরীশ= পাহাড়

 গনেশ= গজ মুণ্ড যার

 চয়ন

 চঞ্চল=অস্থির

 চিত্ত= মন

 চিত্তরঞ্জন=আমোদ-প্রমোদ

 চিরাগ= প্রদীপ

 চন্দন= এক ধরণের সুগন্ধি কাঠ

 চন্দ্র= চাঁদ

 চৈতন্য= চেতনা প্রভু

 জয়= জিত

 জিৎ= জেতা

 জয়ন্ত= ইন্দ্রপুত্র

 জয়দেব=কবি

 জয়জিৎ

 জগদীশ

 জিতেন্দ্র

 জনক= রাজা

 জ্যোতির্ময়=দীপ্তিময়

 চিরঞ্জিত

তরুণ= নবীন

 তনয়= ছেলে

 তমাল= বৃক্ষ

 তন্ময়

 তুহিন= বরফ

 দ্বীপ= বাতি

 দেব= দেবতা

 দীপ্ত= উজ্জ্বল

 দর্শন= দেখা

 দেবাংশু= দেবতার অংশ

 দিবাকর= সূর্য

 দেবর্ষি= দেবতাদের ঋষি

 দেবকুমার= দেবতাদের কুমার

 দেবরাজ= দেবতাদের রাজা

 দুর্গেশ= দুর্গের কর্তা

 দ্বৈপায়ন= বেদব্যাস

 তীর্থ

 দীপ্তমান

 দীনবন্ধু

 দীনেশ

 দীপ্তময়

 দীননাথ

 দ্বীপরাজ

 দেবজিৎ

 দিপেন

ধীমান

 ধীরাজ

 ধীরেন

 ধৃতরাজ

 ধনঞ্জয়

 নয়ন= চোখ

 নবীন= নতুন

 নগেন্দ্র

 নরেন্দ্র

 নারায়ণ= বিষ্ণু

 নরেশ= শিব

 নিলয়

 নিমাই

 নিতাই

 নকুল

 নিশান= চিহ্ন

 নির্মল= শুদ্ধ

 নিত্য

 নেহেরু

 নিদর্শন

 নিরুপম

 নীলাচল= সমুদ্রসৈকত

 নীলাঞ্জন

 পল্লব

 পাভেল

 পার্থ= অর্জুন

 পরিতোষ

 প্রলয়= ঝড়

 পবিত্র= শুদ্ধ

 প্রবীর= শ্রেষ্ঠ বীর / শক্তিমান

 প্রদীপ= কুলোত্তম

 প্রভাকর= সূর্য

 প্রশান্ত= অচঞ্চল

 প্রতাপ= বিক্রম / তেজ

 প্রতীক= চিহ্ন

 প্রফুল্ল= আনন্দ

 প্রিয়= পছন্দের মানুষ

 প্রকাশ= জানানো

 প্রভাত= সকাল

 প্রনয়

 প্রনব

 প্রীতম

 প্রতীশ

 প্রিতীশ

 প্রতিম

 পরম

 পঙ্কজ

বিশাল= বড়

 বিকাশ= ক্রমবিকাশ

 বিমান= যান

 বাদল= বৃষ্টি

 বসন্ত= ঋতু

 বিজয়= বিজেতা

 বিমল= পবিত্র

 বুদ্ধ= জ্ঞানপ্রাপ্ত

 বুদ্ধদেব= জাগরিত জ্ঞানী

 বরুন= বরুনদেব

 বিশ্ব= পৃথিবী

 বিশ্বজিৎ= পৃথিবীজয়ী

 ভৈরব= শিব

 ভানু= সূর্য

 ভীম= বলশালী / প্রকাণ্ড

 ভূপেন্দ্র= পৃথিবীশ্বর

 ভরত= রাজর্ষি বিশেষ

 ভবেশ= ইহলোকের অধিপতি

 মৃন্ময়= মৃত্তিকার মতো কোমল

 মাধব= কৃষ্ণ

 মহেশ= শিব

 মানব= মানুষ

 মনীশ= মনিষী

 মানিক= রত্ন

 মনোহর= মন হরনকারী

 মৃণাল= পদ্মের নাল

 যতীন

 যতীন্দ্র

 রবি=সূর্য

 রুদ্র=কলাধর

 রক্তিম= উজ্জ্বল লাল

 রবীন্দ্র= সূর্য

 রমাকান্ত= নারায়ণ বা বিষ্ণু

 রঘু= সূর্য

 রাজা= শ্রেষ্ঠ

 রাঘব= শ্রী রাম

 রাজন= রাজা

 রঞ্জিত= রঙিন

 রঞ্জন= রঙ্গিন

 রুপক= একটি খেলা, একটি দৃশ্য

 রুপেশ= একটি হাত

 রুপম= অতুলনীয়

 রাজদ্বীপ

 রাহুল

 মুকেশ

 মৃদুল

 রথীন্দ্র

ললিত= কোমল

 লক্ষণ= চিহ্ন

 লোকেশ= লোকের ঈশ্বর

 শশী= চাঁদ

 শুভ= মঙ্গল

 শুভ্র= সাদা

 শ্রীজাত= সুন্দর জাতিবিশেষ

 শ্রীরুপ= সুন্দর রূপ

 শশাঙ্ক= চাঁদ

 শেখর= শিরোভূষণ

 শুভম= শুভ ব্যক্তি

 শঙ্কর= শিব বা মহাদেব

 শুভময়

 শুভজিৎ

 শুভদ্বীপ= পবিত্র আলো

 শুভ্রদ্বীপ= সাদা আলো

 হিরেন

 হিমাংশু= চন্দ্র

সূর্য= ভানু, নক্ষত্র

 সৌম্য= শান্ত ও সুন্দর / চন্দ্রের পুত্র

 সুস্নিগ্ধ= শান্ত

 সুদীপ= সুন্দর আলো

 সুদেব= ভালো মানুষ

 সাগর= সমুদ্র

 সুমন= সুন্দর মন যার

 সুজন= ভালো মানুষ

 সমীর= বাতাস

 সিদ্ধার্থ= সফলকাম

 সৌরভ= সুন্দর গন্ধ

 সোহম= ব্রহ্ম

 সুধর্ণ

 সুকমল= নরম মানুষ

 সুরজিৎ

 সুবিনয়= অতিশয় নম্রতা সুজিত

 সুজয়

 সুমিত= সহৃদয় বন্ধু

 সুকুমার= সুন্দর ছেলে

 সুনীল= গাঢ় নীল

 সুশীল= সচ্চরিত্র ভদ্র স্বভাববিশিষ্ট

 সমুদ্র

 সঞ্জয়

 সঞ্জিত

 সঞ্জীব
Share:

তিথি বিশেষে বর্জনীয় খাদ্য/কার্যাবলী

তিথি বিশেষে বর্জনীয় আহার:



আমাদের শাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন তিথি অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে নিষেধ আছে।
যেমন
v প্রতিপদ তিথিতে চালকুমড়া,
v দ্বিতিয়াতে বৃহতী (এক প্রকার গোল সাদাবেগুন)।
v তৃতীয়াতে পটল,
v চতুর্থীতে মূলা,
v পঞ্চমীতে বেল,
v  ষষ্ঠীতে  নিমপাতা ,
v সপ্তমীতে তাল,
v অষ্টমীতে  নারকেল,
v  নবমীতে অলাবু অর্থাৎ লাউ,
v  দশমীতে কলমিশাক,
v একাদশীতে শিম,
v দ্বাদশীতে পুঁইশাক,
v ত্রয়োদশীতে বার্ত্তাকু বা বেগুন,
v চতুর্দশীতে মাষকালাই খাওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও অষ্টমী, চতুর্দ্দশী পুর্ণিমা,অমাবস্যা ও সংক্রান্তিতে মাছ,মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। ভাদ্রমাসে লাউ,মাঘমাসে মূলা ও চৈত্র মাসে শিম খাওয়া নিষিদ্ধ। রবিবারে মাছ,মাংস,মসুর,নিম,আদা ও দুগ্ধজাত খাবার বর্জনীয়।
আচ্ছা আপনাদের কি মনে হয় এগুলো কি নিছক কুসংস্কার?? আমাদের অজ্ঞানতাকে আড়াল করতে আজ আমরা এই গুলিকে কুসংস্কার বলে সহজেই চালিয়ে দেই।  আসলে ভিন্ন ভিন্ন তিথিতে চন্দ্রের আকর্ষণে প্রাণীর শরীরে বিভিন্ন রসের তারতম্য ঘটে,এবং সেই রসের সাথে যে যে  খাবারের রস মিশলে শরীরের অনিষ্ট হতে পারে সেই সকল খাবারই ঐ সকল তিথিতে নিষিদ্ধ। বিভিন্ন তিথিতে শরীরের এই তারতম্য বুঝতে না পারলেও অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে তা বেশ বুঝতে পারা যায়। শরীরে কাটা-ছেড়া, ব্যাথা বা অন্য যে কোন অসুখ থাকলে ঐ দুই তিথিতে বেশ টের পাওয়া যায়। ভাদ্রমাসে লাউ, মাঘমাসে মূলা ও চৈত্রমাসে শিম নিষিদ্ধের কারন হলো সেই সময় সেই সকল গাছ শুকিয়ে পড়ে, ফসল ছিবড়া যুক্ত হওয়ায় হজমে বাধা দেয় ও পেটের অসুখের কারণ হতে পারে।
রবিবারে মাছ,মাংস,মসুর,নিম,আদা ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে বারণ করা হয়েছে, রবিবার সাপ্তাহিক অবকাশের দিন এমন দিনে বাধ্যবাধকতা কি মানতে চায়??? চায় না। আমাদের জিহ্বার চিহিদা পূরনের চাইতে অতি প্রয়োজনীয় কি আর কিছু আছে? যতদিন অব্দি না আমাদের শরীর কোন অসুবিধা দিচ্ছে ততদিন আমরা শরীরের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাই, ঠিক যেমন মধুমেহ (ডাইবেটিস) হলে আমাদের অতি প্রিয় মিষ্টযাত খাবার ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত অসুখে তৈলাক্ত খাবার আমরা বর্জন করি।
Share:

হিন্দু ধর্ম মতে মৃতদেহ সৎকার

হিন্দু ধর্ম মতে মৃতদেহ সৎকার:


মৃত্যুর সময় করনীয়ঃ—

কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে ঐ ব্যক্তিকে প্রান ত্যগের স্থান থেকে সরানো যাবে না। শান্ত ও স্থিরভাবে প্রানত্যগ করবে। মৃত্যুর সময় কানে কোন পৌরানিক নাম প্রদান, টানা হেচড়া করা, বুকের উপর কোন ধর্ম বই রাখা, চিত্কার করা, ঢোল, করতাল বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো, নোংরা বিছানায় রাখা, কপালে বা শরীরে তিলক মাখানো কর্তব্য নহে। মৃত্যুর পর মৃত শরীরকে যত্নের সাথে একটি পরিস্কার স্থানে উত্তর দিকে মাথা ও দক্ষিন দিকে পদদ্বয় রেখে শুদ্ধ বিছানায় চিত করে শোয়াতে হবে। দুই চোখ, মুখ খোলা থাকলে বন্ধ করে দিতে হয়। দুই কান এবং দুই নাকের ছিদ্র তুলার সঙ্গে কর্পুর মিশিয়ে গুজে দিতে হয়। মৃত পুরুষকে পুরুষগন শুদ্ধ জলে স্নান করতে হয়। এবং মৃত মহিলাকে মহিলাগন স্নান করতে হয়। শুদ্ধ জলে নিম পাতা অথবা কুলপাতা মিশিয়ে জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল কুসুম কুসুম গরম হলে সেই জল দ্বারা মৃতকের শরীর সাবান সহযোগে স্নান করাতে হয়। স্নান শেষে নতুন পরিস্কার বস্ত্র পড়াতে হয়। শশ্মানে নেয়ার আগে পরিবারের সবাই মৃত ব্যক্তির নিকট দাড়াবে এবং ঈশ্বরের উদ্দ্যেশ্যে প্রার্থনা করে বেদ মন্ত্রের শান্তি পাঠে করতে হয় এবং শান্তভাবে পবিত্র বেদের গায়ত্রী মন্ত্র অর্থসহ পড়তে পড়তে নীরবে মৃতকসহ চিতা এলাকায় যেতে হয়।

গ্রহনযোগ্য নয়ঃ—

শশ্মানে নেয়ার সময় ঢোল বাজানো, লম্ফ-ঝম্প, নিশান পোতা, খই বা পয়সা ছড়ানো, চিত্কার করা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। চিতা এলাকায় বিড়ি, সিগারেট, গাজা, ভাং, মদ্যপান, মাদক গ্রহন, চিত্কার, কোলাহল, জোরেশোরে গান বাজনো করা যাবে না এটা কখনো গ্রহনযোগ্য নয়।

প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিঃ—

বেল, আম, ডুমুর, তেতুঁল, শমী, পলাশ প্রভৃতি মোটা শুকনা কাঠ যা মৃত ব্যক্তির ওজনের অন্তত ৭গুন। বেশিও দেয়া যেতে পারে। এছাড়া হোমযজ্ঞের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যথা দুটি মাটির কলসি, একটি কোদাল, একটি কুড়াল, একটি দা, একটি প্রদীপ এবং সত্কার্যে চিতায় অগ্নি প্রবেশ করানোর জন্য পলতা, কর্পুর এবং পাঁচ থেকে পনের কেজি পর্যন্ত ধুপ বা ধুনা।

চিতায় অগ্নি প্রদান মুখাগ্নি করার সময় নিম্নোক্ত বেদ মন্ত্র পাঠ করা হয়-

"ওঁ কৃত্বা দুস্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্যজানতা মৃত্যুকালবশং প্রাপ্য নবং পঞ্চত্বমাগতম।
দহেযং সর্বগাত্রানি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্চতু।।"

অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আত্মার কল্যাণ কামনায় "দিব্যান্ লোকান্ স গচ্চতু" বলা উচিৎ।

প্রজ্জ্বলনের আগে মৃতদেহকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে মুখাগ্নি করা হয়। কার্পাস তুলা অথবা নতুন কাপড় দ্বারা পলতা তৈরী করে অথবা মশাল তৈরী করে ঘি এবং কর্পুর মিশিয়ে ঘৃতের প্রদীপ হতে অগ্নি গ্রহন করে মৃত ব্যক্তির মাথায় নিম্নভাগ হতে পদদ্বয়ের নিম্নভাগে নিম্নের মন্ত্রে আহুতি প্রদান করবে। সন্তান না থাকলে স্ত্রী, ভাই, বোন, নিজের বংশের লোক, শ্বশুরের বংশের লোক অথবা অন্য আত্মীয় চিতায় অগ্নি প্রদান করতে পারবে। যে কোন ভাবে মৃত ব্যক্তির (স্বাভাবিক মূত্যু, আত্মহত্যা, জলেডোবা, আগুনেপোড়া, দুর্ঘটনায় মৃত) অবশ্যই দাহ্য কার্য বা সত্কার হয়। একমাত্র গর্ভপাতকৃত সন্তান এবং ৩ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানকে মাটিতে প্রথিত করতে হবে। এর পর বেদমন্ত্রে আহুতি দেয়া শুরু করতে হয়। সত্কার বা দাহকার্যে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিগন স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পরে প্রয়োজনে আচমন করে পবিত্র ভাবে দাহ কার্যে অংশগ্রহন করবেন। দাহকার্য শেষে যদি শরীরে ময়লা লাগে তবে স্নান করতে হয় তবে অবশ্যই অশৌচ হয়েছে মনে করে স্নান করা যাবেনা। প্রানত্যগের স্থানে স্বস্তিবাচন, শান্তিপ্রকরন এবং হোমযজ্ঞ করতে হয়। মুখে অগ্নি প্রদান, উলঙ্গ করে দাহ করা। প্রতি মৃত্যুবার্ষীকিতে হোমযজ্ঞ, ধর্মানুষ্ঠান, অনাথ আশ্রমে দান, বিদ্যালয় বা ধর্মচর্চা কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি করা যেতে পারে। সবসময় মনে রাখতে হবে যে মহাশত্রু হলেও মৃত ব্যক্তির সত্কারে সাহায্য করা উচিত।


সনাতন ধর্মে মৃতদেহ পোড়াবার তিনটি কারন আছে।

আধ্যাত্মিক কারণঃ
আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারিরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। এই ত্রিতাপদগ্ধ সংসারে পুনরায় জন্মগ্রহন করে মানুষ দুঃখজ্বালা ভোগ করুক এটা কেউ চাই না। যে দেহে তিনি এতদিন বাস করেছেন, তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন, পৃথিবীর যাবতীয় সুখের স্বাদ তাকে দিয়েছেন সে দেহের প্রতি আকর্ষণ ও মায়া থাকা স্বাভাবিক। দেহের প্রতি আকর্ষণে পুনঃ দেহ ধারনে তার আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে, ঐ আকাঙ্ক্ষা দূর করার উদ্দেশেই আকর্ষণের বস্তু দেহটিকে পোড়ানো হয়।

সামাজিক কারণঃ
 আর্য ঋষিদের ভবিষ্যৎ চিন্তা এতে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ সৃষ্টি হবে এবং এমন একদিন আসতে পারে যখন স্থানাভাব দেখা দেবে। মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রেখে দিলে ক্রমশ মাটিতে রাখার জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে। এই কারনেই দেহ পোড়াবার বাবস্থা।

বৈজ্ঞানিক কারণঃ
মানুষ বিভিন্ন কারনে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্য রোগে মৃত্যুই সর্বাধিক। এই সকল মৃতদেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব চিন্তা থেকেই আর্য ঋষিগণ শব পোড়াবার বিধি দিয়েছে।

মুখাগ্নি করার কারণঃ
আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারি বিশ্বাস করি যে, মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হয় অথ্যাৎ দেবলোকে যায়। কিন্তু, তিনি স্বর্গে বা দেবলোকে যাবেন কিভাবে? বৈদিক নিয়ম অনুসারে দেবলোকে বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। অগ্নিদেবই সে অর্চনা বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যান। তাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রাণবায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি না দিলে তিনি কি করে স্বর্গবাসী হবেন? প্রানবায়ু মুখ দিয়ে বের হয় বলে মুখে অগ্নি সংযোগ করে মন্ত্র পাঠ করতে হয়-
“ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্মং জানতা বাপ্য জানতা ।
মৃত্যুকাল বশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্
ধর্মাধর্ম সমাযুক্তং লোভ মোহ সমাবৃতম্
দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু”

অনুবাদঃ তিনি জেনে বা না জেনে অনেক দুষ্কর্ম করে থাকতে পারেন। কালবশে মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে। এ দেহ ধর্ম, অধর্ম, লোভ, মোহ প্রভিতি দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। হে অগ্নিদেব, আপনি তার সকল দেহ দগ্ধ করে দিব্যলোকে নিয়ে যান। (ক্রিয়াকাণ্ড বারিধি)।


ওঁ শান্তিঃ  ওঁ শান্তিঃ  ওঁ শান্তিঃ

(সংগ্রহীত )
Share:

কিভাবে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়?

কিভাবে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়?


হিন্দুধর্ম কি গ্রহণ করা যায়?      
আজ কাল অনেক লোকই রয়েছে যারা তাদের পূর্ব পুরুষের
 সনাতন ধর্মে ফিরে আসতেঅগ্রহ প্রকাশ করে। 
অন্যদিকে শুধুমাত্র আগ্রহ প্রকাশেই তো আর সনাতন ধর্মে
ধর্মান্তরিত হওয়া যায় না, এ বিষয়েও তারা অবগত।

সনাতন ধর্ম গ্রহনে বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে যা সকলেরই
জানা আবশ্যক।তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে হিন্দু/সনাতন
 ধর্ম গ্রহন করা যায় বা কিভাবে ফিরে আসতেপারেন হিন্দু ধর্মে? 
সনাতন ধর্ম শাস্ত্র মতে, পৃথিবীতে জন্মগ্রহনকারী প্রতিটি মানবই
জন্মগতভাবেহিন্দু এবং বেদ মতে, 
পৃথিবীতে ধর্ম একটাই যা সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম।

অতিতের ইতিহাস থেকে যানা যায় যে, সেসময় বিভিন্ন
ধর্মের লোকেরা ব্রেইন ওয়াস করে ধর্মান্তরিত করেছে 
অসংখ্য মানুষকে। যার কারনে অন্য ধর্মে স্থানান্তরিত হওয়ায়
হিন্দু সম্প্রদায় অনেক পিছিয়ে। তবুও বর্তমান বিশ্বে
লোকসংখ্যার দিক থেকেহিন্দু/সনাতন ধর্মানুসারিদের
 অবস্থান তৃতীয়তম। তাছাড়া এমন কিছু লোক এখনও 
আছে যারা ধর্মান্তরিত হয়ে নতুন করে ফিরে আসতে চায় তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মে।তবে বেশিরভাগ লোকই অবগত নন
 কিভাবে অনুসারী হওয়া যায় এই ধর্মের।
 যে ব্যক্তি এতো দিন সে তার জীবনে চলার পথে সঠিক
 নিয়ম অনুসরন করেনি,
সে অগ্নির সামনে বসে পবিত্র মন্ত্রের উচ্চারনের মাধ্যমে সেই শপথ গুলো
নেয়াকেই হিন্দু ধর্ম গ্রহন করা বলা হয়। 

হিন্দুধর্ম কি সবাই গ্রহণ করতে পারে ?
যে কোনো ধর্মের,  কেউ চাইলেই হিন্দুধর্ম গ্রহন করতে পারে। 
শুধু যে জন্ম সুত্রেই সনাতন ধর্মালম্বি হয়া যায় তা নয়। 
যে কেউই ইচ্ছে করলে সনাতন ধর্ম গ্রহন করতে পারে। 
ধরুন আপনি ভালো কাজ করতেন। হঠাৎ কারো প্ররোচনায়
 পরে চোর বা ডাকাত হয়ে গেলেন। এক সময় বুঝতে
 পারলে আপনি খারাপ পথে আছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন 
আবার ভালো পথে ফিরে আসবেন।ঠিক তেমনি কেউ সনাতন 
ধর্ম থেকে গেলে বা অন্য ধর্মে জন্মালে সনাতন ধর্মে 
ফিরে আসতে পারবে।

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা গেলে গ্রহণের পদ্ধতি কি ? বিস্তারিত জানুনঃ
পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন ধর্ম সনাতন ধর্ম। সকল ধর্ম, মত, পথ ও উপাসনা পদ্ধতি এসব কিছুরই উৎসমুখ হচ্ছে এই হিন্দুধর্ম। 
যেহেতু একসময় পুরো পৃথিবীতে হিন্দুধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মই
 ছিল না তাই সেসময়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে হিন্দুধর্মে 
দীক্ষিত করার প্রথাও ছিল না, কেননা সেসময় ভিন্ন ধর্ম
 বলতে কিছু ছিল না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে শুধু ভিন্ন
 ধর্মের উদ্ভবই ঘটেনি এমনকি হিন্দুধর্মকে সংহার করতে
 বহু ধর্মেরই উদ্ভব ঘটেছে আর এদের দ্বারা হিন্দুরা বিপথে 
চালিতও কম হয়নি।মহামানবরা যেমন সমাজ সংস্কারের 
জন্য কাজ করেন তেমনি সময়ের প্রয়োজনে কিছু 
পদ্ধতিও সম্প্রদায় ও সমাজের জন্য নির্দেশ করেন। 
খ্রিষ্টীয় চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীর দিকে তেমনি একজন
 ঋষির আবির্ভাব ঘটে। যদিও ১২০০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে
 আনুষ্ঠানিক ইসলাম ধর্মের রাজনৈতিক বিস্তার
 শুরু হয় কিন্তু মূল কাজটি শুরু হয়েছিল বেশ পূর্বে।
 আর ভিন্ন ধর্মে চলে যাওয়াহিন্দুদের নিজ ধর্মে ফিরিয়ে
 আনতে এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষকে হিন্দুধর্ম গ্রহণের
 পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেন এই মহান ঋষি দেবল।
 তাঁর রচিত 'দেবল স্মৃতি' হিন্দুধর্ম গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ বিধান
 দেয়া আছে। ভারতীয় আর্য সমাজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ 
কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে কনভার্ট হওয়া হিন্দুদের নিজ
 ধর্মে ফিরিয়ে আনা ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা হিন্দুধর্ম 
গ্রহণের 'শুদ্ধি যজ্ঞ' নামক আনুষ্ঠানিকতাটিমূলত
 এই দেবল স্মৃতির অনুসরণ। 

চতুর্থ/পঞ্চম শতাব্দীর দিকে ঋষি দেবলের ডাকে সমসাময়িক 
ভারতে ঋষিদের নিয়ে সিন্ধু তীরবর্তী (বর্তমান পাকিস্তান অংশে) 
এক সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে ঋষি দেবল ও অন্যান্য 
ঋষিগণ হিন্দুদের রক্ষা ও হিন্দুধর্ম প্রসারের লক্ষ্যে কিছু 
সিদ্ধন্তে উপনীত হন। এই সিদ্ধন্তের ফলাফল হচ্ছে
 'দেবল স্মৃতি' নামক গ্রন্থ।ভারতের দেরাদুন আর্য সমাজের
 গ্রন্থাগারে আজও 'দেবল স্মৃতি' সংরক্ষিত আছে। 
এই গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ যত শীঘ্র হবে ততই আমাদের 
জন্য মঙ্গল।এছাড়াও বেদের সেই বিখ্যাত মন্ত্রও আমাদের
 নির্দেশ করে যে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা যায়-
'হে মনুষ্যগণ তোমরা ঈশ্বরের মহিমাকে বৃদ্ধি কর, 
সমগ্র বিশ্বকে আর্যধর্মে দীক্ষিত কর' ।
 ঋগ্বেদ,
মোক্ষযোগ শ্লোক -২৬
সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ।
অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ ॥ ৬৬॥

গীতার গানঃ
সর্ব ধর্ম লাগি হও আমার শরণ।
রক্ষিব তোমাকে আমি সদা সর্বক্ষণ ॥
কোন চিন্তা না করিবে পাপ নাহি হবে ।
আমার শরণে তুমি পরা শান্তি পাবে॥

অনুবাদঃ সর্বপ্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও ।
আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব ।তুমি শোক করো না ॥

তাৎপর্যঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে বলেছেন , কেউ যদি সমস্ত পাপ
 থেকে মুক্ত না হয়েও থাকে, কেবল আমার শরণাগত হওয়ার ফলে 
তিনি আপনা থেকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন । পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য অন্যকোন কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। 
আমাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণকে সমস্ত জীবের পরম পরিত্রাতা বলে দ্বিধাহীনভাবে গ্রহণ করা। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে আমাদের 
উচিত তার প্রতি শরণাগত হওয়া।

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করার পর করণীয় বিষয়ঃ 
১। ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকতে হবে এবং সেই পরমাত্মা ঈশ্বরকে স্মরণ
 করতে হবে।
প্রতিদিন হরি নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করবেন। 
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে"

২। হিন্দুধর্মীয় শাস্ত্র অনুসরণ করে চলতে হবে।    

৩/মন্দিরে যেতে পারেন মনের শান্তির জন্য এবং আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনার জন্য ।

৪/ বেদ, গীতা, পুরান পাঠ করবেন প্রতিদিন।  কারন যত আপনি বেদ, গীতা এবং পুরান পাঠ করবেন,
তত-ই আপনার জ্ঞান বাড়বে।

৫/ মন্দিরে গিয়ে পুরুহিতের মাধ্যমে যজ্ঞ করে সঠিক পথে চলার
শপথ নিবেন।

৬/ বেদ গীতা অনুযায়ী জীবন গড়ার চেষ্টা করবেন।

৭/ সব সময় ঈশ্বরকে স্মরণ রাখবেন। তার কাছে মন থেকে
 প্রার্থনা করবেন সে যেন আপনাকেসঠিক পথে চলার 
অনুপ্রেরনা করে। আর হ্যা আপনি যদি সত্যি তার পথে 
চলেন।তাহলে আপনার মনে কখনো দুঃখ থাকবে না।

৮/ পৃথিবীর সকল জীবকে আপনার ভালবাসতে হবে।

হিন্দুধর্ম গ্রহণ করা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনাঃ
যখন কোনো হিন্দু মেয়ে অন্য ধর্মের  ছেলের সাথে পালিয়ে যায়
 তখন আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছি।কিন্তু যখন কোন 
হিন্দু ছেলে অন্য ধর্মের  মেয়েকে বিয়ে করে সনাতন ধর্মে 
আনতে চায় তখন আমরা ছি ছি করছি কেন?
একদিকে জাতপাতের ঘৃনা ছড়ায়ে মেয়েদের লাভ জিহাদের
 শিকার করিয়ে দিচ্ছি।আরেক দিকে কোনো হিন্দু ছেলে 
অন্য ধর্মের মেয়ে বিয়ে করে সনাতনধর্মে অানতে চাইলে, 
তাকে তাড়িয়ে দিয়ে অন্য ধর্ম গ্রহনে বাধ্য করাচ্ছি।
জাতপাত দূর করো, হিন্দু হলেই বিয়ে করো।
অহিন্দুকে বিয়ে করে, আর্য ধর্মে দিক্ষীত করো।
সকলেরই আড়ষ্টতা থেকে বের হয়ে মুক্তমন ও স্বাধীন ভাবে 
বাঁচার অধিকার আছে। 
সনাতনী চিন্তা-চেতনায় আলোকিত হউক সমগ্র সৃষ্টিকুল। 
ছিল সে একজন অহিন্দু, তাতে কিবা আসে যায়। 
আজ সে তার আসল সত্ত্বায় ফিরে আসতে চায়, 
তাতে ক্ষতি কি! প্রকৃত সত্য সনাতন, এর বাইরে কিছু নয়।

(সংগ্রহকৃত) 
Share:

হিন্দু ধর্মের প্রয়োজনীয় কিছু শব্দ

হিন্দু ধর্মের প্রয়োজনীয় কিছু শব্দ:


★দুইপক্ষ - কৃষ্ণপক্ষ, শুক্লপক্ষ।
★দুই অয়ণ=উত্তরায়ণ,,দক্ষিণায়ন।

★ত্রি ভুবন – স্বর্গ, মর্ত, পাতাল।
★ত্রিফলা - হরীতকী, বিভীতকী বা বহেড়া, আমলকী।
★ত্রিধারা - মন্দাকিনী, অলকানন্দা,ভোগবতী।
★ত্রিশক্তি - কালী, তারা, ত্রিপুরা।
★ত্রিকাল - অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ।
★ত্রিকুল - পিতৃকুল, মাতৃকুল, শ্বশুরকুল।
★ত্রিবেণী - গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী।
★ত্রিপিটক - সূত্র, বিনয়, অভিধর্ম।
★ত্রিরত্ন - বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘ।
★ত্রিবর্গ - ধর্ম, অর্থ, কাম।
★গরমমশলা - দারুচিনি, লবঙ্গ, ছোটো এলাচ।
★চারবেদ - ঋক, সাম, যজু, অথর্ব।
★চারযুগ - সত্য, ত্রেতা দ্বাপর, কলি।
★চতুর্বর্গ - ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।
★চতুরঙ্গ সেনা - হস্তী, অশ্ব, রথ,পদাতিক।
★চতুর্ধাম - রামনাথ, বৈদ্যনাথ, জগন্নাথ,দ্বারকানাথ।
★চতুরাশ্রম - ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য,বানপ্রস্থ,
সন্ন্যাস।
★চতুর্বর্ণ - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
★পঞ্চবাণ - সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ,তাপন, স্তম্ভন।
★পঞ্চগঙ্গা - ভাগীরথী, গোমতী,কৃষ্ণবেণী,পিনাকিনী, কাবেরী।
★পঞ্চনদী - কিরণা, ধূতপাপা, সরস্বতী, গঙ্গা, যমুনা।
★পঞ্চনদ - ঝিলম বা বিতস্তা, চন্দ্রভাগা,ইরাবতী, বিপাশা, শতদ্রু।
★পাঁচফোড়ন - মৌরি, মেথি,কালোজিরে,জিরে, রাঁধুনি।
★পঞ্চমুক্তি - সার্ষ্টি, সারূপ্য, সালোক,সাযুজ্য,নির্বান।
★পঞ্চমুক্তি - সার্ষ্টি, সারূপ্য, সালোক,সাযুজ্য,
নির্বান।
★পঞ্চতীর্থ - কুরুক্ষেত্র, গয়া, গঙ্গা,প্রভাস, পুষ্কর।★পঞ্চতিক্ত - নিম, গুলঞ্চ, বাসক, পলতা,কন্টকারী।
★পঞ্চপল্লব - আম, অশ্বত্থ, পাকুড়, বট, যজ্ঞডুমুর।
★পঞ্চোপচার - গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ,নৈবেদ্য।
★পঞ্চপাণ্ডব - যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন,নকুল,সহদেব।
★পাঁচ মহাসাগর - প্রশান্ত মহাসাগর,ভারতমহা
সাগর, আটলান্টিক মহাসাগর,
সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর, কুমেরু বা
দক্ষিণ মহাসাগর।
★পঞ্চশস্য - ধান, যব, মাষ, তিল, মুগ।
★পঞ্চামৃত - দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, মধু, চিনি।
★পঞ্চায়ুধ - তরবারি, শক্তি, ধনুক, বর্ম,পরশু বা
কুঠার।
★পঞ্চকন্যা - অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তি,তারা,মন্
দোদরী।
★পঞ্চভুত - ক্ষিতি, অপ্, তেজঃ, মরুত,ব্যোম।
★পঞ্চ ‘ক’ - কেশ বা চুল, কাঙ্গা বাচিরুনি, কড়া বা
কঙ্কণ বা বালা, কৃপাণবা ছুরি, কাশেরা।
★পঞ্চমুক্তি - সার্ষ্টি, সারূপ্য, সালোক,সাযুজ্য,নির্বান।
★পঞ্চবটী - অশ্বত্থ, বট, বিল্ব, আমলকী,অশোক।
★পঞ্চগুণ - রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ।
★পঞ্চগব্য - দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, গোমূত্র, গোময়।
★পঞ্চনুন - সৌর্বচল, সৈন্ধ, বিট, ঔদ্ভিদ,সামুদ্রিক।


কিছু জিনিস মনে রাখা আবশ্যক:-
১.অপেক্ষা কর : ধৈর্য্যের সাথে
২.আহার করো : পরিমিত ভাবে
৩.কথা বলো : সংক্ষেপে
৪.কাজ করো : নীরবে
৫ .খেলা করো : অবসরে
৬.গবেষণা কর : নিষ্ঠার সাথে
৭.চিন্তা করো : গভীর ভাবে
৮.তর্ক করো : যুক্তির সাথে
৯.দান করো : মুক্ত হস্তে
১০.নত হও : সংযমের মাধ্যমে
১১.পান করো : ধীরে ধীরে
১২.পথ চলো : সাবধানে
১৩.ব্যয় করো : আয় অনুসারে
১৪.বিশ্বাস করো : মনে প্রাণে
১৫.বাস করো : সুজনের সাথে
১৬.ব্যয়াম করো : নিত্য পরিমিত
১৭.শ্রবণ করো : মন দিয়ে
১৮.সাধনা করো : একাগ্রচিত্তে
১৯.স্বকল্প করো : দৃঢ় চিত্তে
২০.সাহায্য করো : গাম্ভীর্যের সাথে
২১.সেবা করো : যত্নের সাথে
২২.হাসো : প্রাণ খুলে
২৩.ভালোবাসো : মন থেকে ।।
২৪.ধর্ম করো: ভক্তি সহকারে

সংগ্রহীত

Share:
Powered By Blogger

Categories

লেখক

সুমন চন্দ্র বর্মন (সাগর)
অনার্স, এম এ (ইতিহাস)
টাংগাইল, ঢাকা, বাংলাদেশ।